আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে পবার পারিলা বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে পারিলা ইউনিয়ন জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মুরাদ একহাতে রামদা আরেক হাতে পিস্তল নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বেশকিছু বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট চলাকালে লাইনের ছবি উঠানোকে কেন্দ্র করে রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদের পক্ষের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সদ্য সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিনের পক্ষের নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে তা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় রূপ নেয়। এ সময় সদ্য সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিনের পন্থি হিসেবে পরিচিত পারিলা ইউনিয়ন জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মুরাদ একহাতে রামদা আরেক হাতে পিস্তল নিয়ে সদ্য বিজয়ী আসাদের পক্ষের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে আসাদের পক্ষের দুই কর্মী আহত হন। পরে আসাদ সমর্থকরা একত্রিত হয়ে ধাওয়া দিলে তিনি পালিয়ে যান।
এর রেশ ধরে সোমবার সকালে আয়েন গ্রুপের নেতাকর্মীরা আসাদের সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় দুই গ্রুপের প্রায় ১০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
এদিকে, সদ্য সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিনের পক্ষের নেতাকর্মীরা পারিলা বাজারে কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। একইসঙ্গে কয়েকটি বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমি প্রশাসনকে বলেছি অপরাধী যেই হোক আইনের আওতায় আনার জন্য। এ ছাড়া, আমি তাদের সঙ্গে বসেছি। এই ঘটনা আর বাড়বে না।
পবা থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
মন্তব্য করুন