শ্রীমঙ্গল ( মৌলভীবাজার ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শ্রীমঙ্গলে সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের মুখে হাসি

শ্রীমঙ্গলের একটি সূর্যমুখী ফুলের বাগান। ছবি : কালবেলা
শ্রীমঙ্গলের একটি সূর্যমুখী ফুলের বাগান। ছবি : কালবেলা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সূর্যমুখী ফুল চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ বেড়েছে এ উপজেলায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের পশ্চিম লইয়ারকুল, উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাইল হাওর সংলগ্ন এলাকা এবং আশিদ্রোন ইউনিয়নের হরিনাকান্দি গ্রামে চাষ হয়েছে সূর্যমুখী ফুলের। কৃষকরা তাদের ক্ষেত পরিচর্যা করছেন। সূর্যমুখী ফুল দেখতে প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকে নানান বয়সি মানুষ ঘুরতে আসছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, শ্রীমঙ্গলে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সরকারিভাবে সূর্যমুখী চাষ শুরু হয়। কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ রাজস্ব খাতের অর্থায়নে প্রশিক্ষণ ভাতা ও প্রণোদনা বাবদ সার ও বীজ দেওয়া হয়। এবার শ্রীমঙ্গলে ৫২ হেক্টর অর্থাৎ ১২৯ একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে।

অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে ফসল উৎপাদন ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা সূর্যমুখী চাষ করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ১ কেজি বীজ দিতে হয়। দেড় ফুট অন্তর অন্তর একটি করে বীজ বপন করে। এক সারি থেকে আরেক সারির দূরত্ব দেড় ফুট। ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে বীজ উৎপাদন করা সম্ভব।

প্রতি একর জমিতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ হয়। এ ছাড়া সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে উৎপাদিত তেল কোলেস্টেরল মুক্ত ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় বাজারে এ তেলের চাহিদাও বেশি। চলতি মৌসুমে শ্রীমঙ্গল উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে ৩৭০ জন চাষিকে সূর্যমুখী চাষের জন্য প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। বিঘা জমিতে ছয় থেকে সাড়ে ছয় মণ সূর্যমুখী ফুলের বীজ পাওয়া যাবে।

উপজেলার পশ্চিম লইয়ারকুল এলাকার বাসিন্দা মো. খলিল মিয়া বলেন, গত বছরও আমি সূর্যমুখী চাষ করেছিলাম। ঝড়-তুফানে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লোকসান হয়। এবার সাত শতক জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। গত জানুয়ারি মাসে আমি চাষ শুরু করি।

তিনি বলেন, কৃষি অফিস থেকে আমাকে বীজ ও সার দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমি ক্ষেতে ৩/৪ হাজার খরচ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। এই ক্ষেতে দেড়- দুই মণ বীজ সংংগ্রহ করে বিক্রি করতে পারব। বাজারে বীজের দাম বাড়তি থাকলে লাভবান হওয়ার আশা করছি।

সূর্যমূখী চাষী আশিদ্রোন ইউনিয়নের মো. নুরুল হক বলেন, সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তেল ও খৈল হয়। ফুলের ক্ষেতে মৌচাক বসিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মধুও সংগ্রহ করা যায়। এ ছাড়া শুকিয়ে যাওয়া গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। সূর্যমুখী বীজ বপনের ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যেই ফুল থেকে বীজ ঘরে তুলতে পারি। অন্যান্য তেল বীজের তুলনায় বেশি তেল পাওয়া যায়।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন কালবেলাকে বলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের স্বাবলম্বী করতেই সূর্যমুখী ফুল চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। আগামীতে সূর্যমুখীর চাষ অনেক বাড়বে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার বিএনপির দুই নেতার

ভূমিকম্প: প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ, ভাঙা হবে ২৪ ভবন

পর্তুগালের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ব্রাজিল

‘এলডিসি উত্তরণ ও বন্দর নিয়ে কেবল নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে’

দেশের ৮১ সরকারি কলেজ স্থান পেল ‘এ’ ক্যাটাগরিতে

স্ট্রোক করে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

চলন্ত ট্রেনে পপকর্ন বিক্রেতাকে হত্যা

আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, গ্রেপ্তার ২৪

বস্তিবাসীর জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ও স্থায়ী পুনর্বাসনের আশ্বাস আমিনুল হকের

দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে: সাকি

১০

তিন মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি গ্রেপ্তার

১১

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ভারত

১২

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে : ডা. শাহাবুদ্দিন

১৩

‘যারা কাসেমীর ফাঁদে পড়েছ, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করো’

১৪

ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা বাংলাদেশের

১৫

বৃহত্তর নোয়াখালী নারী কল্যাণ সংঘ ইতালির আত্মপ্রকাশ

১৬

শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

১৭

‘হাসিনার কালো আইন বাতিল করুন, না হয় নিবন্ধন দিন’

১৮

বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১৯

আহত শিশুকে নেওয়া হলো হাসপাতালে, সড়কে পড়ে ছিল বিচ্ছিন্ন হাত

২০
X