বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লাইন-৩ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত গাজীপুর-এয়ারপোর্ট রুটের সাতটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
রোববার (২৪ মার্চ) সকালে সচিবালয় থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়ালি ফ্লাইওভারগুলো উন্মুক্ত করেন।
ফ্লাইওভারগুলো হলো ৩২৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাম পাশ), ৩২৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান পাশ), ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের জসীমউদ্দিন ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউটার্ন-১ গাজীপুর ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউ-টার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের ভোগড়া ফ্লাইওভার ও ৫৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের চৌরাস্তা ফ্লাইওভার।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে উদ্বোধন নয়, উন্মুক্ত করা হলো সাতটি ফ্লাইওভার। এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে৷ বিগত দিনে ঈদের সময় গাজীপুরে যে ভোগান্তি হয় এবার আর তা হবে না। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের ৯১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বিআরটি প্রকল্পের বাস চলাচল করবে।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের কারণে বছরের পর বছর ভোগান্তি হয়েছে। আশা করি আর হবে না। আমি নিজেও অন্তত ৫০ বার এই প্রকল্প দেখতে এসেছি। সরকারের উন্নয়নকে নেতিবাচকভাবে না নিয়ে একটু ভাবুন। এতগুলো প্রজেক্ট হয়েছে, এর মধ্যে একটি প্রজেক্টে একটু সমস্যা হয়েছে। এটি আমরা স্বীকারও করেছি এবং সমস্যাটি কোথায় সেটিও বলেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতারা ব্যর্থতার জন্য তারা নিজেরাই ক্লান্ত, তাদের কর্মীরা হতাশ। নেতাদের কারও সঙ্গে কারও কথার মিল আমরা দেখি না। মঈন খান ভারতের সহযোগিতা চান, রিজভী আবার ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন।’
বিএনপি নেতা মেজর হাফিজের দেশের তরুণ প্রজন্মকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন করার লোক পায় না, সামরিক প্রশিক্ষণ কাকে দেবে। এটি প্রতারণাপূর্ণ একটি কৌশল। আসলে দলটির নেতারা একেকজনে একেক কথা বলেন। এখন আমরা শুনতে চাই দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী বলেন, তিনিই দলের মুখপাত্র।’
মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবির যৌক্তিকতা নাকচ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মধ্যবর্তী নির্বাচনের চিন্তা সরকার কেন করবে? এর কোনো যুক্তিও নেই, বাস্তবতাও নেই। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে হবে। আমাদের সংবিধানে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো কথা বলা নেই।’
এ সময় গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান, বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক (সড়ক) এ এসএম ইলিয়াস শাহ্, বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক (সেতু) মো. মনিরুল ইসলাম খান।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন, বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান, মো. জাকির হোসেন ও আব্দুর রহমান, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার ( ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন