কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৫ এএম
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কক্সবাজারে ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ২ বগি লাইনচ্যুত, যোগাযোগ বন্ধ

ডুলাহাজারা স্টেশনে স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুই বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
ডুলাহাজারা স্টেশনে স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুই বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজার ডুলাহাজারা স্টেশনে স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুই বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল যোগাযোগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ঈদগাঁও ডুলাহাজারা স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। ডুলাহাজারার স্টেশন মাস্টার ফরহাদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কক্সবাজার যাওয়ার পথে ঈদ স্পেশাল ট্রেন-৯ এর ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বগি উদ্ধারে কাজ চলছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইন ঠিক না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই রুটে ট্রেন চলাচল বিলম্ব হবে।

ট্রেনের চালক উলি উল্লাহ কালবেলাকে বলেন, স্টেশন মাস্টার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্ত লাইনের পয়েন্ট সেট করা না থাকায় ইঞ্জিনসহ দুই বগি লাইনচ্যুত হয়।

বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন গত বছরের ১১ নভেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে দেশের পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন হয়। খুলে যায় সম্ভাবনার দুয়ার। বাসের চেয়ে কম ভাড়ায় যাতায়াতের সুযোগ মিলছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। উদ্বোধনের পর ১ ডিসেম্বর থেকে এই রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে। ১০২ কিলোমিটার এই রেলপথে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও গুমদুমে ৯টি স্টেশন রয়েছে। এই স্টেশনগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটারভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক রয়েছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল শেখ হাসিনা তার সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

সারা দেশকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১০ সালের ৬ জুলাই দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের প্রকল্প উন্নয়ন প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পাস হয়। এর পর কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও সেটি ভেস্তে যায়। পরবর্তী সময়ে ট্রান্স এশিয়ান রেল নেটওয়ার্কে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার সরকারি পরিকল্পনায় কক্সবাজারে রেলপথ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আবার আলোচনায় ওঠে।

দাতা সংস্থার অর্থায়ন নিশ্চিত হওয়ায় ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদন দেওয়া হয়। শুরুতে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ব্যয় পরিকল্পনা ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকায় গিয়ে ঠেকে। যদিও এ প্রকল্পের কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ১৫ হাজার ৪৭৬ কোটি ৩৬ হাজার টাকা। বাকি টাকা ব্যয় হবে ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রামু উপজেলা হয়ে মিয়ানমারের ঘুনধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আর্কিটেক্ট পদে নিয়োগ দিচ্ছে আরএফএল গ্রুপ

২১ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিলেন ডিসি সারোয়ার

যেসব কারণে যানজটের কবলে সিলেট

এবার পুরোপুরি বন্ধ হলো বড়পুকুরিয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন

আ.লীগ-জাপার ৫৬ ইউপি সদস্যের দলত্যাগের ঘোষণা

পরপর অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার সন্দেহ রিজভীর

মা ইলিশ রক্ষা / জেলেরা এবার যে কারণে বেশি আক্রমণাত্মক

জামায়াত নেতার গাড়িবহরে হামলা

লিফলেট বিতরণ শেষে ফেরার পথে বিএনপি নেতার মৃত্যু

১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ২০

১১

আগুন সন্ত্রাস আ.লীগের পুরোনো খেলা : রাশেদ প্রধান

১২

সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত জনগণ ব্যর্থ করে দিয়েছে : রহমাতুল্লাহ

১৩

চা-বিস্কুট খাইয়ে জামাইকে হত্যা, শ্বশুর পলাতক

১৪

জনকল্যাণ ও দেশের উন্নয়নই বিএনপির মূল লক্ষ্য : কফিল উদ্দিন

১৫

রূপনগর–পল্লবীতে আমিনুল হকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

১৬

মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, ৪ জনের মরদেহ কবর উত্তোলনের সিদ্ধান্ত

১৭

সহস্র প্রদীপ প্রজ্বালনে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দীপাবলি উদযাপিত

১৮

সেনাবাহিনীকে নয়, অপরাধীকে দায়ী করুন

১৯

শ্যামা পূজা পরিদর্শন করলেন প্রিন্স

২০
X