মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২
মুহাম্মদ আশরাফুল হক ভূঞা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তীব্র গরমে বেড়েছে হাতপাখার কদর

হরেক রকমের হাতপাখা। ছবি : কালবেলা
হরেক রকমের হাতপাখা। ছবি : কালবেলা

হাতপাখা তৈরি ও ব্যবহারের ইতিহাস বহু প্রাচীন। হাতপাখার প্রচলন ছিল আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর আগে গ্রিক-রোমান যুগেও। বৈদ্যুতিক পাখার যুগে অনেকটা হারিয়েই যেতে বসেছে হাতপাখা। তবে দেশে বর্তমানে অসহনীয় লোডশেডিংয়ে হাতপাখার কদর বেড়েছে। লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা ও তীব্র গরমে মানুষের ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শোভা পাচ্ছে হাতপাখা। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর হাতপাখা নাড়িয়ে কিছুটা প্রশান্তি খুঁজছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষ।

সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। টানা কয়েক দিনের প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। হাঁস-ফাঁস অবস্থা খেটে খাওয়া মানুষদের। হাট বাজার ও বিপনি বিতানে আসা মানুষদের কাছে কদর বেড়েছে হাতপাখার। তাছাড়া লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষের ভরসা হাতপাখায়।

কেন্দুয়া শহরের সাজিউড়া মোড়ে কথা হয় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভ্রাম্যমাণ হাতপাখা বিক্রেতা সুজন মিয়ার সঙ্গে।

এ বিক্রেতা জানান, গরম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতপাখার চাহিদা শুরু হয়। তবে গরম বেশি পড়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে শহরে হাতপাখার কদর বেড়েছে। আকার ও মান ভেদে বাঁশের তৈরি এসব পাখা ৪০ থেকে ৫০ পিস পাখা বিক্রি হচ্ছে।

শহরের সাউদপাড়া মোড়ে কথা হয় হাতপাখা বিক্রেতা রাকিব আহমেদের সঙ্গে।তিনি বাইরে থেকে এসব বাঁশের তৈরি পাখা কিনে এনেছেন। আর কাপড় ও সূতার তৈরি পাখাগুলো ময়মনসিংহ জেলা থেকে কিনেছেন।তিনি ঘুরে ঘুরে শহরের কলেজমোড়, বাসস্ট্যন্ড ও কেন্দুয়া বাজারে বিক্রি করছেন এসব পাখা। প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০টি পাখা বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইকারিতে পাখার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যেখানে বাঁশের হাতল দিয়ে তৈরি প্রতি পিস হাতপাখার দাম পড়তো ৯ থেকে ১০ টাকা। এখন সেই হাতপাখা পাইকারি প্রতি পিস ১৫ থেকে ১৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

এসব ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা আক্ষেপ করে জানান, প্লাস্টিকের বানানো পাখা ও বিভিন্ন বাহারি ডিজাইনের রেডিমেড পাখা তাদের ব্যবসায় ঢল ফেলেছে।

তারা আরও জানান, এ বছর গরমের শুরুতেও হাতপাখার চাহিদা এত ছিল না। হঠাৎ করে গরম বেশি পড়ায় এবং শহরে পোশাক কিনতে আসা মানুষদের কাছে বেশি বিক্রি হচ্ছে এসব পাখা।

কথা হয় শহরে দিগদাইর মোড়ে হাতপাখা কিনতে আসা ছবি আক্তারের সঙ্গে। তিনি জানান, একে তো প্রচণ্ড গরম, সেইসঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিং। পোশাক দেখার আগেই শরীর গরমে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই আমি বাসার জন্য আজ চারটা হাতপাখা নিয়ে নিলাম।

এদিকে শিক্ষক খাইরুল ইসলাম জানান, দিন দিন হাত পাখার কারিগররা এ পেশা থেকে অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। একসময় বিপুল সংখ্যক লোক এ পেশায় জড়িত থাকলেও প্লাস্টিক ও রেডিমেড পণ্যের সঙ্গে তাল না মেলাতে পেরে পেশা পরিবর্তন করছে। সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে বাঁশের তৈরি ক্ষুদ্র শিল্পকে টিকিয়ে রাখার প্রত্যাশা করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আওয়ামী সংশ্লিষ্টতা বিতর্কে বিসিবি থেকে বাদ ইসফাক আহসান

সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় তিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়ে যা বললেন আমিনুল

১৩ বছরের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চায় গাজীপুরবাসী

সুন্দরবনে ভেসে গিয়ে বেঁচে ফিরলেন কুয়াকাটার পাঁচ জেলে

শিশু হত্যার দায়ে একজনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন

যুক্তরাজ্যের বিশেষ দূতের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধিদলের বৈঠক

পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটির দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন

বৃষ্টি ও ভ্যাপসা গরম নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

১০

গুগলে দ্রুত প্রয়োজনীয় তথ্য জানার ৭ কৌশল

১১

পুনরায় বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হলেন মনজুর আলম

১২

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আ.লীগ নেতা ও তার ছেলের ইলিশ শিকার

১৩

কবরস্থান-মসজিদ রক্ষায় রেলকর্মীদের আলটিমেটাম

১৪

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকার / এককভাবে সরকার গঠনে আত্মবিশ্বাসী তারেক রহমান

১৫

চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যের প্রতারণা, সেনা অভিযানে গ্রেপ্তার

১৬

কোরআনে হাফেজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

১৭

বাংলাদেশে নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে তুরস্ক

১৮

৫ দিনের মাথায় আবারও গুলি করে যুবককে হত্যা

১৯

আ.লীগ নেত্রী আকলিমা তুলি গ্রেপ্তার

২০
X