পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরদিন বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের চারজন দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
বুধবার (২২ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সোনাহার বাজার ও নূরুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিমুল ইসলাম বুলবুল। পরে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সোনাহার ইউনিয়নে একটি পক্ষ রহিমুল ইসলাম বুলবুলের পক্ষে নির্বাচনের প্রচারে সরব হন। অন্য পক্ষটি কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোট বর্জন করে। এ নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম জানান, বুধবার সকালে তিনি বাড়ির কিছু জিনিসপত্র কেনাকাটার উদ্দেশে নূরুর বাজার এলাকায় যান। কেনাকাটা শেষে দোকান ত্যাগের আগমুহূর্তে জাহাঙ্গীরকে অতর্কিতভাবে মারধর করে বুলবুল ও শাহেদ। জাহাঙ্গীর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি হওয়ায় ফেসবুকে ভোট বর্জন সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্ট করেন। তার দাবি, এই কারণে বুলবুল তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন।
আবু তৈয়ব ও সাজু প্রধান নামে অপর দুই আহত ব্যক্তিও একই অভিযোগ করেন। আবু তৈয়বকে বুলবুলের ছোট ভাই টুটুল মারধর করলেও সাজু প্রধানকে পেছন থেকে ঘাড়ে ও মাথায় আঘাত করায় তিনি কাউকে শনাক্ত করতে পারেননি। দুজনই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত ছিলেন। তবে পরে সাজু প্রধানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এইদিকে চেয়ারম্যানের ভাই টুটুল অভিযোগ করেন, নূরুর বাজারে আমার ভাইকে আটকে রাখা হয়েছে এমন খবরে আমি সেখানে যাই। সেখানে সোবাহান নামে এক ব্যক্তির দোকানে প্রবেশ করলে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ধারালো কোনো কিছু দিয়ে টুটুলকে আঘাত করতে গেলে টুটুল তা প্রতিহত করে। এই সময় তার বাম হাতের আঙ্গুলে চোট লাগে।
টুটুল আরও বলেন, সদ্য নির্বাচন শেষ হয়েছে। নির্বাচনে জয়ী হতে না পারায় আমাদের এমনিতেই মন খারাপ। এর ওপর বিএনপির কিছু মানুষ আমাদের নিয়ে উপহাস করছে।
এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, টুটুল নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন