ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৪, ১১:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

উপজেলা প্রশাসনের গাফিলতিতে ফসলি জমি হচ্ছে পুকুর

ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন। ছবি : কালবেলা
ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন। ছবি : কালবেলা

জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করেই ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন ফসলি জমি নষ্ট করে দিনে রাতে চলছে মাটি বিক্রির মহোৎসব। উপজেলা প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় নির্বিঘ্নে অবৈধ ট্রাক্টর ট্রলি গাড়িতে বিক্রিত মাটিগুলো বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (১২ জুন) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বানা ইউনিয়নের দক্ষিণ শিরগ্রাম মৃত আব্দুল ওয়াজেদ খানের ছেলে সাইদুর রহমান সেন্টু খান মাঠের মধ্যে কৃষি জমি কেটে পুকুর বানাচ্ছে। মাটি ব্যবসায়িরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পায় না।

বুড়াইচ ইউনিয়নে জয়দেবপুর গ্রামে স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ি ইব্রাহীম ও পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার চতুল গ্রামের আব্দুল্লা দিনে রাতে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের এমন কর্মকাণ্ড। অন্যদিকে রাত হলে সদর ইউনিয়নের লাঙ্গুলিয়া বাইশার ডাঙ্গায় শুরু হয় মাটি কাটা। উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় দিনে রাতে টলিতে মাটি ও বালু বহন করতে দেখা যায়।

এতে করে একদিকে যেমন দিন দিন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে অন্যদিকে অবৈধ ট্রলির তাণ্ডবে ধসে যাচ্ছে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা এবং কাঁচা সড়কগুলো। দিনে এবং রাতে অতিরিক্ত ট্রলি চলাচল করার কারণে পাকা ও কাঁচা সড়কগুলোতে প্রচুর ধুলো ময়লার সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে স্থানীয় জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাপনে নিদারুণ কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।

ধুলাবালিতে তাদের বাড়িঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও সামান্য বৃষ্টি হলেই ট্রলি গাড়ি থেকে খসে পড়া মাটি হতে কাঁদার সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে ঘটে দুর্ঘটনা।

জমির মালিক সাইদুর রহমান সেন্টু খা বলেন, পুকুর কাটতে সব ঝামেলা ইব্রাহীম মেটাবে। প্রশাসন, পুলিশ সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাটতে বলেছি। না করলে পুকুর কাটতে দিব না।

এ বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ি ইব্রাহীম বলেন, মাটি কাটার অনুমতির জন্য ইউএনওর কাছে দরখাস্ত দিয়েছি, তিনি ঢাকা চলে গেলেন এদিকে দেরি হয়ে যাচ্ছে, বৃষ্টি নামলে কাজ করতে পারব না তাই কাজ শুরু করে দিয়েছি।

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের নীরবতা অনেক কিছুরই ইঙ্গিত দেয় বলে স্থানীয়দের দাবি, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, উপজেলা প্রশাসন ম্যানেজ করেই কৃষিজমির মাটি কাটার মহাযজ্ঞ চলছে, এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে খাদ্য সংকটে পড়তে হবে।

এছাড়াও অভিযোগ আছে বিভিন্ন সময় উপজেলা এবং উপজেলার দৈনন্দিন নাগরিক সংশ্লিষ্ট কোনো সমস্যা ও প্রয়োজন নিয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রয়োজনীয় কথা বলতে চাইলে ইউএনও শারমিন ইয়াসমিন সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করেন না এবং সরাসরি কোনো বক্তব্যও দেন না। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাওয়া সরকারি দাপট দেখানো হোক অথবা স্বেচ্ছাচারিতায় হোক, এতে করে আইনের ব্যত্যয় এবং সামাজিক সংকট আলফাডাঙ্গাতে প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে জনসাধারণের দাবি। কেননা সমাজের অনিয়ম, অসঙ্গতি এবং দুর্ভোগ সংবাদ মাধ্যমগুলিতেই একমাত্র প্রকাশ পায়।

এ বিষয়ে ইউএনও শারমীন ইয়াছমীনকে ফোন দিলে প্রথমে তার ফোন কল ওয়েটিং পাওয়া যায় কিছু সময় পরে তাকে আবার ফোন করলে সুজন নামে ইউএনও’র সিএ ফোনকল রিসিভ করে বলেন স্যার গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এ আছে ১ ঘণ্টা পরে স্যার ফ্রি হবেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গিল পরীক্ষা ব্যর্থ, আবারও হার্দিকের দিকেই ফিরছে বিসিসিআই

বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসাকেন্দ্র কখন চালু হবে, জানালেন প্রণয় ভার্মা

বাউবিতে দাবি আদায়ের জন্য প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিলেন শিক্ষার্থীরা

গানম্যান পেলেন এনসিপির যে ৬ নেতা

খুনের আরেক মামলায় সাজ্জাদ দম্পতি গ্রেপ্তার

বাংলাদেশ হাইকমিশন নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়া পাঁচ নেতার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

ভারতকে হারিয়ে মোটা অঙ্কের পুরস্কার পাচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা

মনোনয়নবঞ্চিত হয়েও দলের নামেই ফরম নিলেন বিএনপি নেতা

স্বর্ণে এবার রেকর্ড সর্বোচ্চ দাম

১০

দিল্লিতে ভিসা কার্যক্রম বন্ধ করল বাংলাদেশ হাইকমিশন

১১

কিউই দাপটে কেঁপে উঠল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিল

১২

ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া সেই সচিবের পদোন্নতি

১৩

এনসিপি ও ছাত্রদলের তুমুল সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ

১৪

স্নিকো বিতর্কে আইসিসির দিকে আঙুল তুললেন স্টার্ক

১৫

গণঅধিকার পরিষদ নেতার মরদেহ উদ্ধার

১৬

আ.লীগের আরও এক নেতা গ্রেপ্তার

১৭

হাদিকে হত্যা ও পরে কী ঘটানো হবে, সব পূর্বপরিকল্পিত : নাহিদ

১৮

স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ করল যুবদল

১৯

বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পর ক্রিকেটই ছাড়তে চেয়েছিলেন রোহিত

২০
X