একদিন বাদেই পবিত্র ঈদুল আজহা। এরই মাঝে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় চলবলা ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী শিয়ালখোওয়ায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট।
গত কয়েক দিন হাটগুলোতে তেমন একটা মানুষের আনাগোনা না থাকলেও ঈদ ঘনিয়ে আসায় ক্রেতারা ভিড় করছেন পশুর হাটগুলোতে।
প্রতিদিন জেলার স্থানীয় পশুরহাটগুলোতে প্রচুর গরু আসতে দেখা গেছে। প্রতিটি হাটে উল্লেখযোগ্য দেশি গরুর সরবরাহ দেখা গেছে।
তবে দেশি গরুর পাশাপাশি বিদেশি গরুও রয়েছে, লালমনিরহাট কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী শিয়ালখোওয়া কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুর হাট। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বেচাকেনা। হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা আসছেন। ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখর কালীগঞ্জের শিয়ালখোওয়া পশুর হাট।
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ছোট ছোট বেশকিছু খামারে পালন করা হয় দেশি-বিদেশি জাতের গরু। তবে এখানকার অধিকাংশ গরু, ছাগল স্থানীয় কৃষকেরা লালনপালন করেন। এসব গরু, ছাগল প্রাকৃতিক পরিবেশে লতাপাতা ঘাস খেয়ে বেড়ে ওঠে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, কালীগঞ্জ উপজেলায় এ বছর কোরবানি উপযোগী গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া মোট ৩৬ হাজার ৮৭৩টি রয়েছে।
চাপারহাটে গরুর হাটে গরু কিনতে আসা মো. সুমন মিয়া জানান, বাজারে গরু বিক্রেতার চেয়ে ব্যবসায়ী আর দালালের উপস্থিতি অনেক। এ কারণে গরুর দাম অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে। যে গরু ১ লাখ টাকায় বিক্রি হবে তার দাম চাওয়া হচ্ছে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।
শিয়ালখোওয়ার স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, তিনি হাটে ৮টি গরু নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে তিনটি গরু বিক্রি করেছেন। কোরবানির এখন প্রায় শেষের দিকে। ক্রেতারা দরকষাকষি করছেন।
চাপারহাট এর ইজারাদার জামাল হোসেন খোকন বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানি হাটকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। হাটগুলোতে স্বাভাবিক পোশাকে টহল দিচ্ছে পুলিশ। জাল টাকা শনাক্ত করতে ব্যাংক কর্মকর্তারা কাজ করছেন, পাশাপাশি রোগাক্রান্ত পশু শনাক্ত করতে হাটে রয়েছেন পশুচিকিৎসক।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোশারফ হোসেন জানান, কালীগঞ্জে গত বছর ২৪ হাজারের বেশি পশু কোরবানি করা হয়েছে। উপজেলা কোরবানি চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত পশু দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানো হয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির বলেন, গরুর হাটকেন্দ্রিক গোয়েন্দা নজরদারিসহ সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল রয়েছে। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। হাটে পশু বিক্রি করে বিক্রেতারা যেন অর্থ নিয়ে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারে পুলিশ সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে।
মন্তব্য করুন