কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১৫ দিনের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অনিয়ম তদন্তের দাবি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লি। ছবি : সংগৃহীত
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লি। ছবি : সংগৃহীত

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে চরম অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রকাশিত দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পর সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী দুদককে ১৫ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এই তিন আইনজীবী হলেন, অ্যাডভোকেট নাদিম মাহমুদ, ইয়াছিন আলফাজ ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

তাদের চিঠিতে বলা হয়, গত ৩ সেপ্টেম্বর দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় ‘প্রশিক্ষিতদের ছাঁটাই আর অযোগ্যদের নিয়োগ-রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র’ শীর্ষক প্রতিবেদন এবং ১৭ সেপ্টেম্বর ‘নিরাপত্তাহীন পারমাণবিক কেন্দ্রে ফুয়েন লোড বিপজ্জনক রূপপুর’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। উভয় প্রতিবেদনে রূপপুর কেন্দ্রের সিন্ডিকেটভুক্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া, প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা এবং অর্থনৈতিক দুর্নীতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, সিন্ডিকেটভুক্ত কর্মকর্তারা এমন ক্ষমতাধর যে, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান রোসাটমের পরামর্শও পাত্তা দেন না। যোগ্যতা নিয়েও পদে নিয়োগ আটকানো যায়নি, বরং সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বললে চাকরি হারাতে হয়। একদিনে ১৮৬ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে, আর ১৮ জন চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এ ছাড়াও, এনপিসিবিএলের এমডি ড. জাহেদুল হাছান সরকারি খরচে গত এক দশকে অন্তত ৬৫ বার বিদেশ সফর করেছেন। রাশিয়ায় নিজস্ব আবাসনের ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও হোটেল ভাড়া দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। অবসরোত্তর ছুটি শেষে বিধি ভেঙেও তাকে এমডি পদে বহাল রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন : নিরাপত্তাহীন পারমাণবিক কেন্দ্রে ফুয়েল লোড বিপজ্জনক

চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার চুক্তিতে রাশিয়ায় ১ হাজার ৪২৪ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানোর কথা ছিল। বাস্তবে ৯৮৫ জন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, বাকি ১৪ জন এখনো প্রশিক্ষণরত। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করার সুযোগে স্থানীয় কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়েনি। চুক্তি অনুযায়ী ৯০% কাজ রাশিয়ানদের করতে হবে, বাকি ১০% বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের, যা বাস্তবে হচ্ছে না।

রূপপুর কেন্দ্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি হলেন ড. জাহেদুল হাছান। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বী কর্মকর্তাদের কোণঠাসা করে রেখেছেন। মতের পার্থক্য দেখলেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে দমন করছেন। ফলে বহু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কার্যত কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

আইনজীবীরা চিঠিতে জোর দিয়ে বলেছেন, উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি, নিয়োগবিরোধী সিন্ডিকেট এবং সরকারি অর্থের অপব্যবহার রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের জন্য বিপজ্জনক। দুদক ১৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে আমরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফাইনালে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত ভারতের, দেখে নিন দু’দলের একাদশ

মালদ্বীপে নেপালি নারীকে ছুরিকাঘাত, বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

দলীয় লোগো পরিবর্তন করছে জামায়াত!

খাগড়াছড়িতে ৩ পাহাড়ি নিহত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কঠোর বার্তা

শরিয়াহ কমিটির সদস্যদের মাসিক বেতন ২৫ হাজার টাকা

চার বছর পর নতুন নেতৃত্বে চমেক ছাত্রদল

২৩ বছরে ফাইনারী অ্যাডভারটাইজিং

জাবি সংলগ্ন মহাসড়কের পাশ থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

পাঠ্যপুস্তকে জুবিন গার্গের জীবনী

আরও ২৫০ সনাতনীর বিএনপিতে যোগদান

১০

দেখে নিন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচের সময়সূচি

১১

আমার স্ত্রীই ঠিক করেন কখন হামলা চালানো হবে : নেতানিয়াহু

১২

সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদারের ছেলে শাহেদ রিমান্ডে

১৩

কাঠগড়ায় দুর্জয়কে দেখে কাঁদলেন স্ত্রী, চুমু খেলেন বোন

১৪

হজে কমেছে বিমান ভাড়া, বেড়েছে স্বাস্থ্যবিমা

১৫

আরও এক ভারতীয় ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে পিসিবির অভিযোগ

১৬

বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে তথ্য উপদেষ্টার অভিযোগ

১৭

পূজা উপলক্ষে ১০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে জবি

১৮

সুইজারল্যান্ড রাষ্ট্রদূতের বাসায় বিএনপি নেতাদের মধ্যাহ্নভোজ

১৯

বিএজেএফ’র সভাপতি সাইদ শাহীন সম্পাদক আবু খালিদ

২০
X