জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশীদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়ায় গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় আটক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সেই মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর সহযোগী হিসেবে গ্রেপ্তারের পর রমনা মডেল থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় এ রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর আক্তার মোর্শেদ। এরপর মামুনূর রশীদের পক্ষে তার আইনজীবী সিরাজুর হক ফয়সাল রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর কাইয়ুম হোসেন নয়ন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তার ৬ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয় বলে জানান প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জিন্নাত আলী।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী। তিনি ১৯৮৮ সালে আমেরিকায় যান ও ২০০৪ সালে আমেরিকান পাসপোর্ট পান। বর্তমানে বাংলাদেশের বৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করার জন্য অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসেন।
মামলায় বলা হয়েছে, ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিন্টো রোড এলাকায় প্রাডো গাড়িতে করে ‘সন্দেহজনকভাবে’ ঘুরতে থাকেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী। তাকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তার গাড়ি থামায়। কেন এখানে ঘোরাঘুরি করছেন, জানতে চাইলে তিনি পুলিশকে কোনো উত্তর দিতে পারেননি। এজন্য তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় এবং তার কাছে থেকে দুটি আইফোন জব্দ করা হয়।
পরে তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। এ মামলায় দুই দফায় এনায়েত করিমকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি পুলিশ। তার সহযোগী এসএম গোলাম মোস্তফা আজাদকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মামলায় মামুনূর রশীদের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ডে নিল ডিবি পুলিশ।
মন্তব্য করুন