টাঙ্গাইলের জনপ্রতিনিধিকে হত্যা পরিকল্পনার বিষয়ে তথ্য দিয়েছে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সিরিয়াল কিলার সাগর আলী। তবে এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর ‘জেল থেকে লতিফ-কাদের সিদ্দিকীকে হত্যার ছক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে কালবেলা। ২০২০ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মাস্টার পাড়ায় একই পরিবারের চারজনকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সাগর আলী। জামিনে বেরিয়ে ঢাকার আশুলিয়ায় একই পরিবারের তিনজনকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করে সাগর ও তার স্ত্রী। এ ঘটনায় গত ২ অক্টোবর গাজীপুরের শফিপুর এলাকা থেকে স্ত্রীসহ সাগর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দ্বিতীয় দফায় গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, কারাগারে বসে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এবং তার ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে হত্যার পরিকল্পনা হয়। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রায় ২৮ লাখ টাকা খরচ করে সিরিয়াল কিলার হিসেবে পরিচিত মধুপুরের সাগর আলীকে জামিনে জেল থেকে বের করা হয়। টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বসে জাতীয় পর্যায়ের এ দুই নেতাকে হত্যার ছক চূড়ান্ত করেন টাঙ্গাইলের খান পরিবারের সদস্য সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি। আওয়ামী লীগ নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় তিনি এখনো কারাগারে।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সাগর আলী হত্যা পরিকল্পনার বিষয়ে কোনো তথ্য দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে খন্দকার আল মঈন বলেন, আমরা সাগর আলীকে গ্রেপ্তার করেছিলাম একই পরিবারের তিনজনকে হত্যার ঘটনায়। এর আগে ২০২০ সালেও একই পরিবারের ৪ জনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। সাগর আলী জামিনে বের হয়ে এসে আবার একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাগর র্যাবকে বেশকিছু তথ্য দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় তার এলাকার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি তাকে জামিন পেতে সহযোগিতা করেছেন বলে জানিয়েছে। সেই জনপ্রতিনিধি সাগরের জামিন এবং টাকা দিয়ে সহায়তা করেছে আরেকজন প্রতিনিধিকে হত্যার জন্য।
তবে এসবই সাগরের দেওয়া তথ্য। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ হয়েছে, সেসবও সেই গণমাধ্যমের নিজস্ব অনুসন্ধান। তবে সাগর আমাদেরকে যে তথ্যগুলো দিয়েছেন, এগুলো সঠিক কি-না যাচাই-বাছাই করছি। এ ছাড়া, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আরও বিস্তারিত বলতে পারবেন। আমরা সাগরের কাছ থেকে যার নাম পেয়েছি, এ বিষয়ে তদন্ত করছি।
মন্তব্য করুন