রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (০১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলার সঙ্গে জড়িতদের আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমার সোনার বাংলায় সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নাই, ক্যাম্পাসে বোমাবাজি বন্ধ করুন’, ‘ককটেল ও বোমাবাজির অপরাজনীতি বন্ধ করুন, মাসউদ স্যারের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’, ‘মাসউদ স্যারের বাড়িতে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার কর’, ‘সন্ত্রাসীদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠিন বিচারের আওতায় আনতে হবে’ প্রভৃতি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন ও স্লোগান দেন।
কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমাদের জুলাই আন্দোলনের অন্যতম পথযোদ্ধা মাসউদ স্যারের বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। যতক্ষণ এ ঘটনার তদন্ত চলমান ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কোনো পক্ষকেই দোষারোপ করব না। আমরা দেখতে চাই বিপ্লবের নয় মাস পরে এসেও প্রশাসন ঠিক কতটা সচল হয়েছে। প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় গেটগুলোতে ফাঁড়ি বসানো সত্ত্বেও কীভাবে সন্ত্রাসীরা ককটেল নিয়ে যায় তা আমার বোধগম্য না।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তদন্তের সময় বেঁধে দিয়ে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের যদি কোনো ধরনের নিরাপত্তা না থাকে তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা চাই আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন এ ঘটনার তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করবে। নাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচির ডাক দেব।
সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, মাসউদ স্যার জুলাই আন্দোলনে আমাদের সহযোদ্ধা ছিলেন। রুয়া নির্বাচনে তিনি একজন প্রার্থী। রুয়া রাকসু নিয়ে যখনি আমরা জোর দাবি জানিয়ে আসছি তখনি এ রকম একটা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই জায়গা থেকে একটি প্রশ্ন থেকেই যায় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কতটুকু নিরাপদ। অবিলম্বে এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করতে না পারলে আমরা পরে কর্মসূচি ঘোষণা করব।
কর্মসূচিতে সঞ্চালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সমন্বয়ক মেশকাত চৌধুরী, মো. আতাউল্লাহ প্রমুখ। মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, ‘বুধবার রাতেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সেই বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। আমরা দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।’
মন্তব্য করুন