জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে নবনির্বাচিত ভিপি আবদুর রশিদ জিতু বলেছেন, ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুরবৃত্তিক রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব।
তিনি বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি- যে দল ক্ষমতায় থাকে সে দলের ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসে প্রভাব বিস্তার, পেশিশক্তির ব্যবহার, গণরুম ও গেস্টরুমের কালচার তৈরি করেছে। এসবের কারণে শিক্ষার সঠিক পরিবেশ ব্যাহত হয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
জিতু বলেন, আমাদের ইশতেহারে ছিল নিরাপদ এবং শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলব। তাই আমাদের প্রথম কাজ হবে এই দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির চর্চা ক্যাম্পাসে বন্ধ করা। আমি আশা করব, সবাই দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন না করে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে। তারা যেন শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আপসহীন থাকে।
তিনি বলেন, জাকসু ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার অনেক পরিকল্পনা আছে। ইতোমধ্যে আমি শিক্ষার্থীদের আমার সেই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছি। প্রথম পরিকল্পনা হলো- যারা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে তাদের সবাইকে একসঙ্গে করা। আর যারা নির্বাচিত হতে পারেননি তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে দলমত নির্বিশেষে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ করতে চাই। আমার চাওয়া, একটি শিক্ষার্থীবান্ধব নিরাপদ বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে সবার চাওয়া-পাওয়া পূরণ হবে।
আব্দুর রশিদ জিতু বিশ্ববিদ্যালয়ের গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক এবং তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সোচ্চার ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে তাকে। জিতু জুলাই আন্দোলনে প্রথম থেকে সোচ্চার ছিলেন। এমনকি গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী শিক্ষার্থীদের স্বার্থে যৌক্তিক সব আন্দোলনে প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি। মূলত জুলাই আন্দোলন থেকে তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে জাবি ক্যাম্পাসে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের আগে জিতু ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও আন্দোলনের সময় সর্বপ্রথম ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়ে আহত হন। পরবর্তী সময়ে আরিফ সোহেল আটক হলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে ‘ফার্স্ট ম্যান’ হিসেবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগরের আন্দোলন পরিচালনা করেন। পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ নামে প্ল্যাটফর্মের সূচনা করেন। এ প্ল্যাটফর্ম থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন তিনি।
মন্তব্য করুন