গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে যারা রক্তাক্ত করেছে—তাদের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তাহলে ৪৮ ঘণ্টার পর আমরা এমন কর্মসূচি দেব সরকার কিন্তু আমাদের আর থামাতে পারবে না।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আলটিমেটাম দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
তিনি বলেন, আমরা এখনই বলছি না, কী কর্মসূচি দেব। সেটি হতে পারে যমুনা ঘেরাও অথবা সচিবালয় ঘেরাও। ৪৮ ঘণ্টা পরে যদি গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা সচিবালয় কিংবা যমুনা ঘেরাও করে তার পুরোপুরি দায় সরকারের ওপর বর্তাবে।
রাশেদ খাঁন বলেন, ১৭ দিন ধরে নুরুল হক নূর হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। আজ তিনি রিলিজ নিতে চেয়েছিলেন। এর কারণ হলো এত দীর্ঘ সময় হাসপাতলে থাকা একজন জাতীয় নেতার জন্য অনেক বেদনাদায়ক। কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডাক্তারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নুরের এখনো রিলিজ নেওয়ার সময় হয়নি। এখন পর্যন্ত তার নাকের হাড় ভাঙা, চোয়াল ভাঙা, মাড়িতে আঘাত লাগার কারণে তিনি শক্ত কোনো খাবার খেতে পারছেন না, তার মাথায়ও আঘাত লেগেছে।
গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাপা ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। জাপার কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত নুরসহ ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মন্তব্য করুন