ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাসচালক মোমিন শেখকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে বিত্তিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
অভিযুক্ত জসিম ক্যাম্পাসের ভাড়ায়চালিত বাস সুয়াইল পরিবহনের চালক। এ ছাড়া ওই বাসের হেলপার লালন ও গজনবী গ্রামের জুয়েল ও রবিউল মারধরে জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে বিত্তিপাড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়ায় চালিত বাস সুয়াইল পরিবহন বাইরের যাত্রী তোলার জন্য গাড়ি থামালে সেখানে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় ক্যাম্পাসের নিজস্ব বাসের চালক মোমিন শেখ বাস থেকে নেমে সুয়াইল পরিবহনের চালক জসিমকে দ্রুত বাস ছাড়তে বলেন। এতে মোমিন শেখের ওপর চড়াও হন চালক জসিম ও হেলপার লালন। একপর্যায়ে তাকে মারধর শুরু করেন তারা। অপর বাসচালক সালাহউদ্দীন মোমিনকে বাঁচাতে এলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে রড, লাঠিসোঁটা নিয়ে গজনবী গ্রামের জুয়েল ও রবিউলসহ ৩০ জন লোক তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে মোমিনের স্মার্টফোন ও বাসের লুকিং গ্লাস ভেঙে যায়। এ ছাড়া হামলার সময় সালহউদ্দীনের পকেটে থাকা ১০ হাজার ৭০০ টাকা হামলাকরীরা ছিনিয়ে নেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুয়াইল পরিবহনের চালক জসিম বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় বাস থেকে নামিনি। এমনিতেই প্রতিটি বাজারে ভ্যান-সিএনজি থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ওই সময় জট সৃষ্টি হলে সরকারি বাসের চালক এসে আমাদের হেলপারকে বকাবকি করেন এবং এক সময় মারতে উদ্যত হন। এ সময় আমি বাস সামনে এগিয়ে নিয়ে তাদের সাইড দেই। কিন্তু হেলপারের বাড়ি ওই এলাকায় হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে সেখানে অনেক লোকের সমাগম হয় এবং একপর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আমার বাসের হেলপার প্রচণ্ড মারধরের শিকার হন।’
হেলপার লালন বলেন, ‘লক্ষ্মীপুরে মোমিনের সঙ্গে আমাদের ধাক্কাধাক্কি হয়। সেখানে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে আমরা যাত্রী উঠাচ্ছিলাম তখন মোমিন এসে ধমক দিয়ে কথা বলে। এ সময় আমি বলি, আমাদের তো বেসরকারি গাড়ি, তাই একটু থামিয়ে যাত্রী উঠাচ্ছি। না উঠালে আমরা তো আর আপনাদের মতো বেতন পাই না, আপনি একটু সাইড দিয়ে চলে যান। এতে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে বিত্তিপাড়ায় গিয়ে আমাদের গাড়ি আবারও থামালে ওই গাড়ি আমার ওপর দিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যত হন তিনি। পরে আমি সেখানে মাটিতে পড়ে যাই। এতে এলাকার লোকজনের সঙ্গে ক্যাম্পাসের চালক ও ছাত্রদের মারামারি হয়।
এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মন্তব্য করুন