বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বীর হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানোর পাশাপাশি বুয়েটে শীঘ্রই কমিটি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। শনিবার (৩০ মার্চ) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, খুব শীঘ্রই বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মরা বুয়েটে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কমিটি দিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বুয়েট প্রশাসনকে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য করবে। বুয়েটকে জামাত-শিবির ও জঙ্গীদের অভয়ারণ্য হতে দিবে না মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বীর হলের সিট অন্যায় ভাবে বাতিল করার অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
এতে বলা হয়, বিগত ২০২২ সালে বুয়েটে ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ কর্তৃক আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে বাঁধা দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা কারীদের এখনও বিচার হয়নি। জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বাঁধা প্রদানকারীদেরকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতসহ বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বাঁধা প্রদানকারীরা কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। এদের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বুয়েটে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের ১৯৬২ সালের পাকিস্তানি অধ্যাদেশ বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন আইন প্রণয়ন করে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, ভিত্তিহীন ও সংবিধান পরিপন্থী। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এহেন স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে এধরনের সিদ্ধান্ত দ্বারা বুয়েটে প্রতিক্রিয়াশীল জামাত-শিবির-জঙ্গিগোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বুয়েটে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর ও জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অবিলম্বে বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বীর হলের সিট অন্যায়ভাবে বাতিল করার অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। অবিলম্বে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হবে। বুয়েট ছাত্রশিবির কমিটির সকল জঙ্গি এবং এদের লালন-পালনকারী জড়িত শিক্ষকদের চিহ্নিত করে বহিষ্কারসহ আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। অন্যথায় বুয়েট ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
মন্তব্য করুন