বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪, ০৫:৪৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বাকৃবিতে বৃক্ষনিধনের প্রতিবাদ

বাকৃবিতে বৃক্ষনিধনের প্রতিবাদে মানববন্ধন। ছবি : কালবেলা
বাকৃবিতে বৃক্ষনিধনের প্রতিবাদে মানববন্ধন। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিশালাকার ও দীর্ঘজীবী গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের একটি অত্যাধুনিক ল্যাব তৈরির উদ্যেশ্যে লাল ফুলে আচ্ছাদিত একটি বয়স্ক কৃষ্ণচূড়া গাছের ডালপালা কেটে ফেলা হয়েছে।

এরই প্রক্ষিতে উন্নয়নের নামে অযাচিতভাবে বৃক্ষনিধনের প্রতিবাদে ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েস।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০ টায় ভেটেরিনারি অনুষদীয় ভবনের-৩ সামনে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাকৃবি শাখা গ্রিন ভয়েসের সদস্যসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে উত্থাপিত দাবি ৫ টি হলো অবিলম্বে অপরিকল্পিতভাবে বৃক্ষনিধন বন্ধ করতে হবে ও সবুজায়ন নীতি গ্রহন করতে হবে। যে পরিমাণ বৃক্ষনিধন করা হয়েছে তার ১০ গুণ বৃক্ষরোপন করতে হবে। পরবর্তীতে একটি গাছ কাটার ৩ মাস আগে নতুন করে ১০টি গাছ লাগাতে হবে ও এর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় গাছের ডালপালা কাটার নামে গাছকে পঙ্গু করা বন্ধ করতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কোথাও গাছ কাটা একান্তই প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ পরিবেশবাদী ও ছাত্রসংগঠন গুলোর মতামতের ভিত্তিতে নতুন বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা ও সেটির বাস্তবায়নের রূপরেখা নোটিশের মাধ্যমে প্রদান সাপেক্ষে গাছ কাটতে হবে। ভবিষ্যতে আর কোনো বৃক্ষনিধন না করে বিকল্প ব্যবস্থায় রাস্তা, বৈদ্যুতিক লাইন ও অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলছে, সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে গাছ কাটার উৎসব। উন্নয়ন প্রয়োজন কিন্তু তা গাছ কেটে কেন? গাছ না কেটে বিকল্প কোনো চিন্তা করা কী সম্ভব নয়? যে কৃষ্ণচূড়া গাছটির ডালপালা কেটে দেওয়া হলো সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সৌন্দর্য্যবর্ধনকারী গাছ ছিল। গাছটি কেটে ফেলার উদ্দেশ্যেই গাছের ডালপালা কেটে ফেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী এ গাছ কাটার বিষয়ে প্রতিবাদ করছেন।

বক্তারা আরও বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৩টি বড় বড় গাছ কাটা হয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী গাছ লাগানোর কোনো নজির পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের কাজ কী শুধু প্রায়োগিক শিক্ষা দেওয়া? পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তাদের কী কেনো কাজই করার নেই? গাছ কেটে এ উন্নয়ন আমরা চাই না। আর গাছ যদি কাটতেই হয়, তাহলে তার ১০ গুণ গাছ আগে লাগাতে হবে। তারপর গাছ কাটতে হবে। পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব সবার। কারণ পরিবেশের বিরূপ প্রভাব সবাইকেই মোকাবিলা করতে হবে। এখন দাবদাহ চলছে। ধীরে ধীরে অবস্থা আরও খারাপ হবে। যেখানে বনায়নের দিকে মন দেওয়া প্রয়োজন সেখানে আমরা গাছ ধ্বংসে উঠে পড়ে লেগেছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের যে সচেতনতা রয়েছে সেটি একটি ভালো বিষয়। তবে গ্রিন ভয়েসের কেউ আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে গাছ লাগানো হচ্ছে না বিষয়টি এমন না। একটি গাছ কাটা হলে সেটি সকলের চোখ পড়ে। কিন্তু যখন একটি গাছ লাগানো হয় তখন কোনো আয়োজন করে সেটি জানানো হয় না। এ কারণেই শিক্ষার্থীদের মনে এরকম চিন্তা চলে এসেছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু গাছ কাটা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক গাছ আছে এবং প্রয়োজনের বেশি গাছ আছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত

যুক্তরাষ্ট্রকে তুলাধুনা করলেন পুতিন

খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব সুবিধা আছে

তেঁতুলিয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা

কলেজছাত্রের মৃত্যুর খবরে হাসপাতাল অবরুদ্ধ ও ভাঙচুর

ইসরায়েলকে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বয়কট ৪ দেশের

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রতিবন্ধীকে নির্যাতন

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

৫ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১০

যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ক্যারিবিয়ান সাগরে নিহত ৪

১১

দোনবাস না ছাড়লে রাশিয়া শক্তি দিয়ে দখল করবে : পুতিন

১২

দক্ষিণ সিরিয়ায় ইসরায়েলের আবারও হামলা

১৩

সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কমাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র   

১৪

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ৪২ জনকে স্ট্যান্ড রিলিজ

১৫

 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘তুই’ বলায় তুমুল সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বর্জন

১৬

আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই : গণতন্ত্র মঞ্চ 

১৭

চার দেশে বন্যায় ১৫০০ মৃত্যুর পর নতুন আতঙ্ক

১৮

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত

১৯

শাহজালালে ‘এয়ারপোর্ট মিনি ফায়ার এক্সারসাইজ-২০২৫’ সম্পন্ন

২০
X