নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার কামরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ৬১ বার কান ধরে উঠবস করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জ্বর থাকায় টানা তিন দিন বিদ্যালয়ে যেতে পারেনি এ ছাত্রী। অতঃপর বিদ্যালয়ে গেলে নাম ডাকার সময় হাজিরা খাতায় টানা তিন দিনের অনুপস্থিতি দেখতে পেয়ে তাকে সামনে ডাকেন শিক্ষক। এ সময় ওই ছাত্রীকে কানে ধরে ২০৫ বার উঠবস করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কানে ধরে ৬১ বার উঠবস করতেই অজ্ঞান হয়ে যায় ওই ছাত্রী।
এ ব্যাপারে ছাত্রীর মামা মো. মহসিন মিয়া মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন- কামরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান ও কম্পিউটার অপারেটর আসিফ।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, কামরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অসুস্থতার কারণে ৩ দিন স্কুলে অনুপস্থিত ছিল। গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামানের নির্দেশে বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর আসিফ ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত বিষয়ে পাঠদানের জন্য প্রবেশ করেন। ওইদিন আমার বোনের মেয়ে জ্বর অবস্থাতেই উপস্থিত হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ে ৩ দিন অনুপস্থিত থাকার কারণে তাকে ২০০ বার কান ধরে উঠবস করার জন্য বলেন কম্পিউটার অপারেটর। সে ভয়ে কান ধরে উঠবস করা শুরু করে।
একপর্যায়ে ৬০ বার উঠবস করে সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থতার কথা জানালে কম্পিউটার অপারেটর আসিফ ধমক দিয়ে আরও ৫ বার, মোট ২০৫ বার উঠবস করার জন্য বলে। আমার ভাগ্নী মোট ৬১ বার উঠবস করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। পরবর্তীতে তার সহপাঠীরা মাথায় পানি ঢেলে জ্ঞান ফিরিয়ে আনে। তারপর সে বাড়ি চলে আসে।
অভিযোগে মো. মহসিন মিয়া আরও উল্লেখ করেন, আমি আমার ভাগ্নীর নিরাপত্তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি। তার নিরাপত্তাসহ বিবাদীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আলতাফ হোসেন জানান, কানে ধরে উঠবস করানো বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন