

দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) বিভাগ থেকে বুধবার ইস্যু করা এক জরুরি চিঠিতে এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা এবং নতুন প্রণীত সাইবার সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন করলে তা গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আরও বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ এবং সাইবার জগতের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ কার্যকর রয়েছে।
এই নির্দেশিকা ও অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো ধরনের উসকানিমূলক পোস্ট, গুজব ছড়ানো কিংবা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়, এমন কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এসব নিয়ম অমান্য করা কেবল পেশাগত আচরণবিধি লঙ্ঘনই নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হানিকর এবং প্রচলিত আইনে বিচারযোগ্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
শিক্ষা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া এই নির্দেশনায় মাউশির আওতাধীন সব দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ মেনে চলার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ করে সাইবার স্পেসে সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ ও দমনের বিষয়ে সরকারের যে জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে, তা এই সতর্কবার্তায় পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের কারণে বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ার প্রেক্ষাপটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই বাড়তি সতর্কতা আরোপ করল।
মন্তব্য করুন