বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৪, ০৫:৪৬ পিএম
আপডেট : ২৭ মে ২০২৪, ০৯:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জি-সিরিজের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করল শিরোনামহীন

জি-সিরিজ মিউজিক লেবেল কোম্পানির বিরুদ্ধে শিরোনামহীনের অভিযোগ। ছবি : সংগৃহীত
জি-সিরিজ মিউজিক লেবেল কোম্পানির বিরুদ্ধে শিরোনামহীনের অভিযোগ। ছবি : সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড শিরোনামহীন। তাদের গান মানেই দর্শকের জন্য বাড়তি উন্মাদনা। অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়ে শ্রোতা ও দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে দলটি। এবার ব্যান্ডটি অভিযোগ এনেছে জি-সিরিজ মিউজিক লেবেল কোম্পানির বিরুদ্ধে।

অভিযোগপত্রটি সরাসরি দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠিয়েছে তারা। দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর শিরোনামহীনের অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘জি-সিরিজ নামে মিউজিক লেবেল প্রতিষ্ঠান, শিরোনামহীন ব্যান্ডের নিজস্ব ও কপিরাইটকৃত-বন্ধ জানালা, হাসিমুখ, জাহাজি, পাখি, ইচ্ছেঘুড়ি, ভালোবাসা মেঘ ও ক্যাফেটেরিয়া ইত্যাদি গান বিদেশি কিছু কোম্পানির কাছে বিক্রি করে অবৈধভাবে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। যেসব অর্থের বিপরীতে সরকারকে কোনো ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদান করছে না। জি-সিরিজের এরকম বে-আইনি ও দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে গানগুলোর প্রকৃত স্রষ্টা ও মালিক শিরোনামহীন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং বাংলাদেশের সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

এ বিষয় কালবেলাকে শিরোনামহীন ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘আইন অনুযায়ী যে কোনো শিল্পের কপিরাইট থাকে তার স্রষ্টার। সে হিসেবে ব্যান্ডের গানের সব মালিকানা শিরোনামহীন আগেই কপিরাইট নিয়ে রেখছে ২০১৭ সালে। জি-সিরিজ থেকে আমাদের অ্যালবামগুলো চুক্তি অনুযায়ী ডিস্ট্রিবিউশন হয়েছিল এবং আইন আনুযায়ী তার সময় সীমাও অতিবাহিত হয় ঘোষণার মাধ্যমে। এরপর কপিরাইট অফিস থেকে জি-সিরিজের কপিরাইট বাতিল করে। গানগুলোর কপিরাইট আমাদের দেওয়া হয়। এই অবস্থায় আমরা আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব চ্যানেলে গানগুলো প্রকাশের চেষ্টা করি। কিন্তু গানগুলোতে তারা কপিরাইট এবং গ্লোবালি ব্লক করে রাখে। এরপর তারা আমাদের বেশকিছু গানে কপিরাইট দিয়ে আমাদের চ্যানেল ভ্যানিশ করে দেওয়ার চেষ্টা করে, যা আমাদের ব্যান্ড সংগীতের জন্য হুমকি বলে মনে করি। তারা এতটাই প্রভাবশালী, কপিরাইট অফিসের সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করেই গানগুলো থেকে নিজেদের মতো করে মুনাফা লুটছে।’

এ সময় জিয়া প্রশ্ন রেখে আরও বলেন, ‘কপিরাইট অফিস থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না বলেই আর্টিস্টদের এসব ভোগান্তি, দুর্নীতির শিকার হতে হয়। কপিরাইট সার্টিফিকেট, রায় থাকার পরেও মেনে না নিয়ে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও যদি শাস্তি না হয়, তাহলে এসব দুর্নীতিগ্রস্ত কোম্পানিকে কীভাবে মোকাবিলা করা যাবে? সুবিচার কীভাবে পাবে আর্টিস্টরা?’

বর্তমানে শিরোনামহীন ব্যান্ডের লাইনআপে আছেন জিয়াউর রহমান জিয়া (বেজিস্ট ও গীতিকার), কাজী আহমাদ শাফিন (ড্রামার), শেখ ইশতিয়াক (ভোকালিস্ট), সাইমন চৌধুরী (কি-বোর্ডিস্ট) ও দীপু সিনহা (গিটারিস্ট)।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে গেল প্রধান উপদেষ্টার উপহারের আম

এবার আমাদের লক্ষ্য সংসদ ভবন : নাহিদ

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

বানরের উৎপাতে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

‘সংস্কার কমিশনকে বলেছি, ৫ আগস্টের আগে জুলাই সনদ করতে হবে’

কোনো দলের সম্পদ নয়, গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের : সারজিস

ফিফার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও এক ক্লাব

বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন

ওসি পদায়নে ২২ দফা নীতিমালা

সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক সম্পত্তি মেরামতে সহযোগিতা দেবে ভার‍ত

১০

যশোরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

১১

নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা ইমরান খানের সাবেক স্ত্রীর

১২

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে উত্তরায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল 

১৩

কিছু ষড়যন্ত্রকারী দেশের স্থিতিশীলতা ব্যাহত করতে চায় : এনডিপি

১৪

চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন জামায়াতের আমির

১৫

বাঙলা কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবির ও সেক্রেটারি সাকিব

১৬

উপুড় হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস, ডেকে আনছেন যেসব ক্ষতি

১৭

পাল্টা শুল্ক নিয়ে তৃতীয় ধাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার

১৮

পুলিশ সদর দপ্তরের পর্যালোচনা / ছয় মাসে ২৭ হত্যার কোনোটিই সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নয়

১৯

‘আঙুল তোলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন’

২০
X