দুধ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য উপাদান। পুষ্টিগুণে ভরপুর এ পানীয়টিকে অনেকেই ‘সুষম খাদ্য’ বলেই চেনেন। দুধে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ল্যাকটোজ, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ—যা শরীরের গঠন ও বৃদ্ধি, হাড়ের শক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবার জন্যই উপযোগী এই পানীয়টিকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে, দুধ খাওয়ার কথা বলা হলেও এ নিয়ে বিতর্কও কিন্তু কম নয়। কারও মতে, দুধের পুষ্টি উপাদান পাওয়ার জন্য গরম দুধ খাওয়া উচিত। আবার কেউ দাবি করেন, গরম নয়, ঠান্ডা দুধে উপকার বেশি। এ নিয়ে রয়েছে মতপার্থক্য। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে পুষ্টিবিদরা কী বলছেন, সেটি জানা গুরুত্বপূর্ণ।
এ বিষয়ে কলকাতার বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঠান্ডা ও গরম দুধ উভয়ই শরীরের জন্য উপকারী। এ জন্য যে কোনো সুস্থ মানুষ চাইলে গরম বা ঠান্ডা দুধ যে কোনোটি পান করতে পারবেন। এতে সমস্যা নেই। তবে কিছু ক্ষেত্রে গরম দুধের তুলনায় ঠান্ডা দুধ পানের পরামর্শ দেওয়া হয়। সেসব নিচে আলোচনা করা হলো—
পেটের সমস্য
অনেকেরই দুধ পানের পর গ্যাস-অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হয়। এতে বেশ ভুগতে হয়। কিন্তু তারা যদি ঠান্ডা দুধ পান করেন, তাহলে এই সমস্যার সম্ভাবনা থাকে না। আবার ঠান্ডা দুধ পানে মজুত ক্যালসিয়ামও সহজেই গ্রহণ করে নেয় শরীর। এ কারণেই ঠান্ডা দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কী পরিমাণ গ্রহণ করা উচিত
একজন সুস্থ মানুষ দিনে ২৫০ এমএল পরিমাণ দুধ পান করতে পারেন। এতে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ হবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি দই, ছানা, পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবারও খেতে হবে নিয়ম করে। তাতে ছোট ছোট বিভিন্ন রোগ দূরে থাকবে।
যে কোনো সময় কি দুধ পান করা যাবে
সকাল, বিকেল বা রাত, যে কোনো সময় দুধ পান করা হয়। তবে যারা অনিদ্রার সমস্যায় রয়েছেন, তারা ঘুমানোর আগে দুধ পান করতে পারেন। রাতে দুধ পানে শরীরে মেলাটোনিনের ক্ষরণ বাড়ে। এতে চোখে ভালো ঘুম আসে। এ জন্য রাতে ভালো ঘুমের জন্য খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর দুধ পান করে শুয়ে পড়তে পারেন। তাতে ভালো উপকার পাবেন।
সূত্র : এই সময় অনলাইন
মন্তব্য করুন