বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০১:১৯ পিএম
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ডিবি হারুনের বাবা-চাচার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতার অভিযোগ

ডিএমপির সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ। ছবি : সংগৃহীত
ডিএমপির সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ। ছবি : সংগৃহীত

বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ। বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা সর্বশেষ ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি)। সরকারি স্কেল অনুযায়ী তৃতীয় গ্রেডের চাকরিজীবী হিসেবে সর্বসাকুল্যে বেতন ৮০ হাজার টাকারও কম। অথচ সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ।

এবার ডিবি হারুনের বাবা আবুল হাশেম এবং চাচা সোলেমানের (বর্তমানে শ্বশুর) বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানার হোসেনপুর গ্রামের হতদরিদ্র মৃত আবুল হাশেমের ছেলে হারুন। বাবা পেশায় কৃষক ছিলেন। লোকশ্রুতি রয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকালীন হারুনের বাবা আবুল হাশেম, চাচা সোলেমান (বর্তমানে শ্বশুর) এবং কুরবান আলী, বাদশা মোল্লাদের নেতৃত্বে পাকিস্তানি মিলিটারিদের সহযোগিতা করতেন। তাদের নেতৃত্বে মিঠামইন থানার জনৈক শাহেদ সাহেবের বাড়িতে পাকিস্তানি মিলিটারিসহ আক্রমণ করে ১৮ মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়।

পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে হারুন এলাকার লোকজনের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নেন। ১৯৯৩-৯৪ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৯৯-২০০০ সালের দিকে সালসাবিল বাসের টিকিট চেকারের চাকরি নিয়েছিলেন। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে হারুন তার বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বানিয়েছিলেন। সেটি ব্যবহার করেই বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশের চাকরি পান। সারদায় ট্রেনিংয়ের সময় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে চাকরিচ্যুত হন। এরপর মার্কেন্টাইল ব্যাংকে চাকরি করেন। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ছাত্রলীগ করার কারণে হারুন পুলিশের চাকরি ফিরে পান।

হারুনের ভাই ডাক্তার শাহরিয়ার মিঠামইনে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। আরেক ভাই মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান (জিয়া) পুলিশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে এএসআই পদে চাকরি করছেন। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন মদের বার থেকে কয়েক কোটি টাকা মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন সহকারী পরিচালক বলেন, ‘জিয়া এএসআই হলেও উপপরিচালকরা পর্যন্ত তাকে ভয় পান। ভাই হারুনের নাম করে জিয়া রাজধানীর বারগুলো থেকে মাসে কয়েক কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের ব্যক্তিগত নম্বরে টানা কয়েক দিন বারবার ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে ভুল উদ্ধৃতি সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

‘আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে অনেকের গাত্রদাহ দেখেছি’

সৌন্দর্যবর্ধনে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কোরআন অবমাননা, সিএমপির জরুরি সতর্কবার্তা

জাতীয়করণ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

খেলা শেষ হতেই রেফারির ওপর হামলা

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর

আদালতের ‘ন্যায়কুঞ্জে’ খাবার হোটেল, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে উচ্ছেদ

১০

অ্যানথ্রাক্স ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, রংপুর-গাইবান্ধায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু

১১

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা / জানলে যে সব বলে দিতে হবে সেটা তো না

১২

শেখ হাসিনা ও কামালের নির্বাচনী যোগ্যতা নিয়ে যা জানা গেল

১৩

ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে চাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই প্রার্থী

১৪

খুন করে আল্লাহর ভয়ে নামাজ পড়ে ক্ষমা চান হত্যাকারীরা

১৫

ইংলিশদের বিপক্ষে মারুফাদের লড়াই করে হার

১৬

পিআর নিয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব : চরমোনাই পীর

১৭

ফুটবলকে বিদায় বললেন মেসির আরও এক সতীর্থ

১৮

প্রথমবারের মতো ইউনেস্কোর সভাপতি বাংলাদেশ

১৯

ভারতীয়দের জন্য সংকুচিত হচ্ছে মার্কিন দরজা

২০
X