বন্দর নগরী ও দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম আইটি বিজনেস হাব হিসেবে গড়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আইসিটি বিভাগের আওতায় চট্টগ্রামের প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে এমনটা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জানান, চট্টগ্রামের চারটি প্রকল্পের দুটি শেষ হয়েছে। আজ নগরীর চান্দগাঁওয়ে ‘নলেজ পার্ক’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পলক।
এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ।
এ সময় পলক বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রতিযোগিতা মোকাবিলায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইওটি, রোবোটিক্স, সাইবার সিকিউরিটিসহ উচ্চপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বর্তমানে চুয়েটে দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হয়েছে। উদ্বোধনের পর মাত্র এক বছরেই সেখানে বেশকিছু আইটি প্রতিষ্ঠান ও স্টার্টআপকে স্পেস বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে সিংগাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের মাধ্যমে নির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পূর্ণদ্যোমে চলছে। অন্যদিকে চান্দগাঁও-এ এই নলেজ পার্কের পাশেই শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
ভারতীয় হাই-কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা দুই দেশের অত্যন্ত উন্নত সম্পর্ক আরও দৃঢ়করণ এবং আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগসহ আইসিটি খাতে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ-ভারত। অদূর ভবিষ্যতে ভারত বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করবে।
অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পের পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক জানান, প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও-এ ৯.৫৫১ একর জায়গায় এই ‘নলেজ পার্ক’ স্থাপিত হবে। এর কাজ শেষ হলে এখানে প্রায় এক হাজার জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রতি বছর তিন হাজার জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
মন্তব্য করুন