সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর এবং টেকসই কর্মসংস্থান নিশ্চিতে ১২ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। উদ্যোগের অংশ হিসেবে নারীদের জন্য ৩০ শতাংশ সংরক্ষিত রেখে অবশিষ্ট নিম্ন আয়ের এবং প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।
সোমবার (২৮ জুলাই) পিকেএসএফ ভবনে সরকার বাস্তবায়নাধীন স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কমপিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (সিসিপ) প্রকল্পের পিকেএসএফ অংশের (সিসিপ-পিকেএসএফ) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও সহযোগী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। এই প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
অর্থসচিব ও সিসিপের জাতীয় প্রোগ্রাম পরিচালক মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, প্রকল্পের আওতায় ১২ হাজার তরুণের প্রশিক্ষণ সফলভাবে সমাপনের পর সরকার থেকে পিকেএসএফকে অধিকতর সহায়তা প্রদান করা হবে। বিদেশে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে, যার আলোকে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টায় পিকেএসএফ এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলোকে কার্যকর অবদান রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
অতিরিক্ত সচিব ও সিসিপের নির্বাহী প্রোগ্রাম পরিচালক মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন বলেন, আমরা আশা করবো পিকেএসএফ এই প্রকল্প দক্ষতার সাথে সারাদেশে বাস্তবায়ন করবে। প্রশিক্ষকদের মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের দেশের বাইরে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
এসময় পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান জনমিতিক সুবিধা দীর্ঘকাল থাকবে না। এ সুবিধাকে কাজে লাগাতে হলে দক্ষতাসম্পন্ন জনশক্তি সৃষ্টির গত্যন্তর নেই। এ লক্ষ্যে প্রকল্পটি সরকার গৃহীত দক্ষতা উন্নয়নের বিভিন্ন উদ্যোগে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, প্রতি বছর ২০ লাখেও বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে, যা দেশের জন্য একই সাথে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশ সরকার দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। এর সঙ্গে একাত্ম হয়ে পিকেএসএফ এর ‘কৌশলগত পরিকল্পনা ২০২৫-২০৩০’-এ দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে মানবসামর্থ্য বৃদ্ধিকে একটি অন্যতম প্রধান কৌশল হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন, প্রকল্প সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা প্রদান করেন জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক মো. জিয়াউদ্দিন ইকবাল।
এ প্রকল্পের আওতায় ১২টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণার্থীদের থাকা ও খাওয়ার সম্পূর্ণ ব্যয় সংকুলান হবে প্রকল্প থেকে। দক্ষতার ভিত্তিতে আত্ম ও মজুরিভিত্তিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণলব্ধদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে। ইতোপূর্বে পূর্বসূরী সিয়েপ প্রকল্পের আওতায় মোট ৩৮হাজার ৬৩৩ জনকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন