কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পিলখানার ঘটনার পেছনে যারা ছিল তাদের খুঁজে বের করা হবে : ফারুক খান

বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। ছবি : সংগৃহীত
পিলখানার ঘটনার পেছনে যারা ছিল তাদের খুঁজে বের করা হবে : ফারুক খান

পিলখানার ঘটনার পেছনে যারা ছিল তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানার শহীদদের কবরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যা সশস্ত্র বাহিনীসহ পুরো দেশবাসীর জন্য একটি দুঃখজনক ও মর্মান্তিক ঘটনা। এই ঘটনা বিচারের আওতাধীন রয়েছে। বিচারকার্যের যে নিয়ম সেটা আমাদের অনুসরণ করতে হবে। আমরা যতদূর জেনেছি, এই বিচারকার্য এগিয়ে চলেছে, অনেকটা শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আশা করি যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। আর এ ধরনের ঘটনা যেন বাংলাদেশে আর কখনো ঘটতে না পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর পূর্ণ উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শাহাদতবরণকারী সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দুদিনে তৎকালীন বিডিআর বর্তমানে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে।

ওই ঘটনায় একটি হত্যা ও একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়। হত্যা মামলায় ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এর মধ্যে হাইকোর্টে এসে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৪৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঝালকাঠিতে গভীর নলকূপে পানির সংকট

ব্যাট-বলে সাকিবকে শরীফুলের টেক্কা

দেশকে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতি বানাতেই এমন সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী

রাজবাড়ীতে ভাড়ায়চালিত বাইকারের বিরুদ্ধে যাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

সরবরাহ সচল হওয়ায় স্বস্তি ফিরছে ব্রাহ্মণপাড়ার সবজি বাজারে

আজ কোন এলাকায় কত ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

রিয়ালের জার্সিতে কবে মাঠে নামছেন এমবাপ্পে?

স্বেচ্ছায় কারাগারে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা

অলিম্পিকে পদকের লড়াই হবে যে ইভেন্টগুলোতে (২৭ জুলাই)

দক্ষিণ আমেরিকা নিয়ে নতুন ছক সৌদির

১০

রাশিয়ার সাবেক উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী গ্রেপ্তার

১১

ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে?

১২

মানামার বাতাসে দূষণ সবচেয়ে বেশি, ঢাকার পরিস্থিতি কী

১৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বর্জ্যে দুর্ভোগে ৩ লাখ মানুষ

১৪

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

১৫

অলিম্পিকে নিষিদ্ধ ছিল যে দেশগুলো

১৬

দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

১৭

উদ্বোধনীতে অ্যাথলেটদের চেয়ে বেশি উৎফুল্ল বাংলাদেশের কর্তারা

১৮

কুষ্টিয়ায় নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার

১৯

৬ দিন পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু

২০
X