’৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে সব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদিতার খপ্পর থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব।
তারা বলেছেন, সংবিধানের বিকৃত রূপ প্রকারান্তরে জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ করছে। সংখ্যালঘু ও নারীর অধিকারকে ক্রমেই সংকুচিত করছে। এ সংকট থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলেও মনে করেন বক্তারা।
সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ১৯৮৮ সালের ৯ জুন রাষ্ট্রধর্ম বিল তৎকালীন স্বৈরশাসক জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সম্মতিক্রমে সংবিধানে সংযোজিত হয়। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এ দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক। আলোচনায় অংশ নেন, বাসুদেব ধর, মিলন কান্তি দত্ত, রঞ্জন কর্মকার, অ্যাড. রাণা দাশগুপ্ত, মনীন্দ্র কুমার নাথ, অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, উপাধ্যক্ষ হরিচাঁদ মণ্ডল সুমন, রবীন্দ্র নাথ বসু, পদ্মাবতী দেবী, সাগর হালদার, শুভাশীষ বিশ্বাস সাধন, মতিলাল রায়, বলরাম বাহাদুর, শিমুল সাহা, সজীব সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রাণতোষ আচার্য শিবু।
বক্তারা আরও বলেন, সংবিধানে ধর্মীয় রূপ শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিকই নয় বরং তা আজও বিদ্যমান থাকায় স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে উৎসাহিত করে চলেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আর কখনো ফিরবে না। বাংলাদেশ দ্বিতীয় পাকিস্তানে বা আফগানিস্তানে পরিণত হতে বাধ্য। অথচ তা হবার জন্যে ৭১-র মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিরা আত্মত্যাগ করেনি।
ভারতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে রক্ষায় দেশটির জনগণের ভূমিকা ‘ইতিবাচক’ উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, উপমহাদেশজুড়ে শান্তি, স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চার আবশ্যকীয়তা দেখা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন