দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, এখন দরকার অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর ঐক্য ও সমঝোতার রাজনীতি বলে জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
রোববার (৪ মে) সংগঠনটির মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘সংস্কার এবং নির্বাচনের সময় নির্ধারণ বিতর্ক : জাতীয় স্বার্থের নিরিখে’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্ক্সবাদী) প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ রানা। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম ও সঞ্চালনা করেন অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া।
হাসনাত কাইয়ূম তার বক্তব্যে বলেন, ১১ আগস্টে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকারের আশু কর্তব্য, মধ্য মেয়াদী কর্তব্য ও প্রধান কর্তব্য বিষয়ক প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। সেখানে আমরা বিচার, সংস্কার, নির্বাচন - এগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরি। সরকারের অপ্রস্তুতির কারণে হোক বা অযোগ্যতার কারণে হোক - সরকার এই তিনটি কাজেই খুবই সময়ক্ষেপন করেছেন। ফলাফল অনেকগুলো রাজনৈতিক দলের মধ্যে অবিশ্বাস, অস্থিরতা।
তার ফলে বা তার সুযোগে এখন কেউ কেউ পুরোতন বন্দোবস্ত ফেরত আনার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন। ’৭০, ’৯০-এর মতো ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হতে দিতে না চাইলে আমাদের এখন সর্বোচ্চ সমঝদারিত্বের রাজনীতি দরকার। বিচার, সংস্কার, নির্বাচন কোনোটিই কোনোটির বিরোধী নয়, বরং পরিপূরক - এই ভাবে কাজগুলো আগানো দরকার। নয়তো আমাদের কপালে আবারও ফ্যাসিবাদ অপেক্ষা করছে।
জোনায়েদ সাকি তার বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে এ উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সংস্কার ও নির্বাচনকে সমার্থক বলে উল্লেখ করেন। তিনি সরকারের জবাবদিহিতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন অভ্যুত্থানের পর অনেক স্টেকহোল্ডারকে অপ্রাসঙ্গিক, বাতিল করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। অভ্যুত্থানের পক্ষের সবাইকে নিয়ে একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার সভা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার, জাতীয় সমঝোতা তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতির সমালোচনা করে এর কার্যক্রম দ্রততর করার ওপর জোর দেন।
মাসুদ রানা বলেন, নির্বাচন সংস্কারের একটি বড় ক্ষেত্র। দেশের স্বার্থে বিরোধ কমিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ওপর জোর দেন তিনি।
সভায় আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম শফিক, জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য শেখ নাসিরউদ্দীন, হাবীবুর রহমান রাজা, হাওর অঞ্চলবাসীর সমন্বয়ক ড. হালিম দাদ খান, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন উর রশীদ, আম জনতার দলের মুখপাত্র সাধনা মহল, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য সাকলাইন গৌরব প্রমুখ।
মন্তব্য করুন