জাতীয় সংস্কার জোটের নেতারা বলেছেন, আমরা দেশবাসীকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এ জন্য আমাদের ঘোষিত ১৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা জরুরি।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর বিজয় সরণিতে জোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় তারা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদসহ ৩৫টি দল নিয়ে গঠিত জাতীয় সংস্কার জোটে আরও পাঁচটি দল ও একটি জোট যোগদান করে। এগুলোর মধ্যে ড. আসলাম আল মেহেদীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সিটিজেন পার্টি ও সরদার আব্দুস সাত্তারের গণঅধিকার পার্টি অন্যতম।
জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক মেজর (অব.) আমীন আহমেদ আফসারী বলেন, নানা দিক থেকে দেশ এখন ভীষণ সংকটের মুখে। বড় দলগুলো নিজেদের স্বার্থ নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে। সরকার বিব্রত বোধ করছেন। সরকারের কিছু উপদেষ্টার যোগ্যতা নিয়েও কথা উঠছে। জুলাই বিপ্লবের স্প্রিট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। মনে হচ্ছে, সরকার তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে, তার কিছুই করার নেই। এটা হতে দেওয়া যায় না। আমরা দেশবাসীকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
জোটের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুর রহিম বলেন, আমাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের ৮ দফা দাবি নিয়ে সরকার তামাশা করছে। দাবি আদায়ে আগামী ১০ আগস্ট থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এই সরকার আমাদের অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত। এই সরকারকে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।
১৭ দফা দাবিসমূহ হলো—জুলাই ঘোষণাপত্র; পূর্ণাঙ্গ সংস্কার; সকল গণহত্যার বিচার; সংস্কারের পরে প্রথমে স্থানীয় সরকার নির্বাচন; তারপর পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন; রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সহজিকরণ; স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সকল বাধা দূর করা; ডিসি-ইউএনও রিটার্নিং-সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নয়, স্বাধীন শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গঠন; প্রবাসীদের ভোটার করা; নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; নারীর নিরাপত্তা ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সংস্কার জোটের প্রধান সমন্বয়ক প্রফেসর এ আর খান, জোটের নির্বাহী সমন্বয়ক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ নূর প্রমুখ।
মন্তব্য করুন