

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে। তার মাশুল দিতে হচ্ছে দেশের মানুষকে। চট্টগ্রামে নদীর নিচে টানেলের জন্য প্রতিদিন আমাদের লক্ষাধিক টাকা লস বহন করতে হচ্ছে। তিন বছরের মাথায় মেট্রোরেলের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। বেয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে নিহত হয় পথচারী।’
সোমবার (২৭ অক্টোবর) পঞ্চগড়ে সাত দফা দাবিতে জাগপার বিক্ষোভ মিছিল শেষে সোহরাওয়ার্দী পার্কে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, ‘যারা জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি চায় না, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করে জুলাই সনদকে গৌণ করতে চায়, কথায় কথায় মুজিববাদী ৭২-এর সংবিধানের দোহাই দেয়, তারা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের মতো নতুন স্বৈরতন্ত্র সৃষ্টি করতে চায়। শেখ হাসিনা আর সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ কোনোদিন ভাবেনি যে, তাদের এ রকম পলাতক দশা হবে। মিথ্যে অহংকারে তারা নিমজ্জিত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই যারা নিজেদের ক্ষমতাসীন মনে করে, এখনই প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, মিষ্টি কথার আড়ালে যারা অহংকারে ডুবে আছে, তাদেরও একদিন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করার জন্য বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’
রাশেদ প্রধান বলেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করতে হবে। জি এম কাদেরের কথায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। ৫ আগস্টের পর হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ অন্য দেশের কথায় চলে না। বাংলাদেশের মালিক এ দেশের জনগণ, সিদ্ধান্ত নিবে দেশের জনগণ।’
এদিন ৭ দফা দাবিতে সাংগঠনিক জেলাসমূহেও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাগপা। দিনাজপুরে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, নরসিংদীতে প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মো. শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামে প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এম এম আনাছ, বগুড়ায় প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. শামীম আখতার পাইলট, গাইবান্ধায় সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, রংপুরে জেলা সমন্বয়ক মাছুম বিল্লাহ, সাতক্ষীরায় জেলা সমন্বয়ক আতাউর রহমান ফারুকী, জামালপুরে জেলা সমন্বয়ক মো. শফিক মিয়া, ঢাকায় জেলা সহসভাপতি মো. ডালিম হোসেন, নীলফামারীতে জেলা সহ-সমন্বয়ক সাহাবুদ্দিন সাবু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন