আবু তালহা রায়হান
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৮ পিএম
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ ওঠা কি নেককার হওয়ার লক্ষণ?

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শুধু তাঁর ইবাদতের জন্য। আর ইবাদতের শ্রেষ্ঠতম রূপ হলো নামাজ। নামাজ শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং সামাজিক ও আধ্যাত্মিক জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ অর্থাৎ, নামাজ ছাড়া ধর্মের ভিত্তি গড়ে ওঠে না।

রাসুল (সা.)-এর ভাষায়, ‘আমার চোখের স্নিগ্ধতা বা প্রশান্তি রয়েছে নামাজে।’ এ থেকেই বোঝা যায়, নামাজ শুধু শরীয়তের বিধান নয়, বরং তা একজন মুমিনের আত্মিক প্রশান্তির উৎস।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তুমি সূর্য হেলার সময় থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ কায়েম কর এবং ফজরের নামাজ (কায়েম কর)। নিশ্চয়ই ফজরের নামাজে সমাবেশ ঘটে।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : ৭৮)

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলছেন,‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে’ (সুরা আনকাবুত : ৪৫)। অর্থাৎ, প্রকৃত নামাজি সব ধরনের অশ্লীলতা ও অনৈতিকতা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন।

তাই পৃথিবীতে আল্লাহর দেওয়া বিধানগুলোর মধ্যে নামাজের মর্যাদা সবচেয়ে বেশি। আর নামাজের মর্যাদা যেমন বেশি, তেমনই নামাজি ব্যক্তির মর্যাদাও বেশি।

আমাদের আশপাশের অনেক নামাজি ব্যক্তির কপালে কালো দাগ দেখা যায়। এটা বেশি বেশি সিজদা দেওয়ার কারণে হতে পারে আবার অন্যকোনো কারণেও হতে পারে। কিন্তু অনেকে মনে করেন, ‘নামাজি ব্যক্তির কপালে কালো দাগ হওয়া নেককার লোকের লক্ষণ।’ তাদের দাবি, ‘যাদের কপালে কালো দাগ হয় না তারা খুব একটা ভালো না। মুত্তাকি বা পরহেজগার না।’

চলুন, জেনে নিই শরিয়তে এই দাবির কোনো ভিত্তি আছে কি না—

প্রখ্যাত ইসলামী স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে তার প্রিয় বান্দাদের প্রশংসা করে বলেছেন, তাদের সিজদার আলামত তাদের চেহারায় ফুটে ওঠে। (সুরা ফাতাহ : ২৯)

এই আলামত বলতে আসলে কী বোঝায়— এমন প্রশ্নের উত্তরে আহমাদুল্লাহ বলেন, কিছু মুফাসসির তাফসিরের কিতাবে কপালের দাগকেই এই আলামত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে বেশিভাগ মুফাসসিরগণ বলেছেন, এই আলামত বলতে খুশু-খুজু, চেহারার নুরানিয়্যাত এবং উজ্জ্বলতাকে বোঝায়।

তিনি দাবি করেন, কেয়ামতের দিনে অজুর অঙ্গগুলো যেমন ঝলঝল করে জ্বলতে থাকবে, তেমনই সেজদার অঙ্গগুলোও জ্বলতে থাকবে। উল্লিখিত আয়াতে সেই আলামতের কথাই বোঝানো হয়েছে।

কাজেই সিজদা দিতে দিতে যদি কারো কপালে দাগ হয়ে যায়, এটা তার জন্য ভালো। কিন্তু এর মানে এই না, কপালে কালো দাগওয়ালা ব্যক্তিই কেবল মুত্তাকি। আর বাকিরা খারাপ, ফাসিক। বরং অনেক মুত্তাকি লোক রয়েছেন, যারা অসংখ্য-অগণিত নামাজ পড়েও কপালে দাগ হয় না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মহিষ চুরি করে পালানোর সময় গ্রেপ্তার ৩

সঙ্গীর বাবা-মায়ের মন জয় করবেন যেভাবে

সিঙ্গাপুরে হাদির চিকিৎসার খরচ দেবে সরকার : অর্থ উপদেষ্টা

বধূ বেশে সাদিয়া

চবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা

কুষ্টিয়ায় রেলপথ অবরোধ

বিজয় দিবসে যেসব সড়ক এড়িয়ে চলতে বলল ডিএমপি 

সুখ খুঁজছেন অক্ষয় কুমার

ওসমান হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সিঙ্গাপুরের পথে

কলকাতায় নিরাপত্তা নিয়ে ‘গুরুতর হুমকি’ অনুভব করেন মেসি

১০

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম নীরব ক্ষতি করছে আপনার চোখ ও মস্তিষ্কের

১১

জীবনহানির শঙ্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলনের জিডি

১২

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি ছিল অগ্রভাগে : সাঈদ আহমেদ

১৩

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড

১৪

অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রসৈকতে গোলাগুলি, অভিযুক্ত বাবা-ছেলে

১৫

এভারকেয়ার থেকে বিমানবন্দরে নেওয়া হচ্ছে ওসমান হাদিকে

১৬

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণসহ ৫ দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের

১৭

আইপিএলে পুরো মৌসুমে নেই বাংলাদেশিরা, নিলামে দল পাওয়া নিয়ে সংশয়

১৮

লবণ খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করছেন চিকিৎসক

১৯

নিজ বাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু হলিউড নির্মাতা দম্পতির

২০
X