

লক্ষ্য ছিল নাগালের মধ্যেই তবে সেই ১৫০ রানের লক্ষ্যও বড় হয়ে গেল লিটন দাসদের জন্য। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২০ ওভার শেষে ১৩৫ রানে থেমেছে লিটন দাসের দল।
শেষ ওভারে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা আনতে বাংলাদেশের ২১ রান দরকার ছিল। কিন্তু স্পিনার আকিল হোসেনের সঠিক লেন্থ আর ভ্যারিয়েশনে একটি বাউন্ডারিও তুলতে পারেননি বাংলাদেশের শেষ জুটি। উল্টো রিশাদ হোসেন ও নাসুম আহমেদ আউট হয়ে ফেরেন—এবং তাতেই শেষ হয়ে যায় লিটন দাসদের লড়াই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৪৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। ফলে সিরিজে ২–০ ব্যবধানে পিছিয়ে এখন আনুষ্ঠানিক শেষ ম্যাচের অপেক্ষায় টাইগাররা।
এর আগে টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান লিটন দাস। শুরুটা ছিল ভয়ংকর—১১ ওভারে মাত্র একটি উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান তুলে ফেলে ক্যারিবীয়রা। তবে ইনিংসের মোড় ঘুরে যায় নাসুম আহমেদের হাতে। ১২তম ওভারে টানা দুই বলে দুই সেট ব্যাটারকে ফেরান তিনি। এরপর চাপ বাড়ান রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ ৯ ওভারে মাত্র ৪৪ রান তুলতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হারায় ৮ উইকেট।
বল হাতে দারুণ কাজ করেও ব্যাটে ছন্দ খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। ধীরগতির শুরুতেই চাপে পড়ে যায় দল। সাইফ হাসান (১১ বলে ৫) ও লিটন দাস (১৫) আউট হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তানজিদ হাসান। চারটি জীবন পেয়ে সুযোগটা কিছুটা কাজে লাগান তিনি—৪৮ বলে ৬১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন।
তবে তার সঙ্গীরা ছিলেন ব্যর্থ। তাওহীদ হৃদয় ১৮, জাকের আলী ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ দিকে শামীম, রিশাদ বা তানজিম কেউই ম্যাচে ফেরাতে পারেননি দলকে।
১৬ ওভার শেষে ম্যাচের সমীকরণ ছিল—৪২ রান দরকার, হাতে সাত উইকেট। কিন্তু সেখান থেকে শেষ ২৪ বলে বাংলাদেশ তোলে মাত্র ২৯ রান, হারায় ৫ উইকেট।
অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন আকিল হোসেন ও রোমারিও শেফার্ড। আকিলের বোলিংই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জয়ের আশা গিলে খেয়েছে।
এই হারে সিরিজও হারল বাংলাদেশ—প্রথম ম্যাচে ১৬ রানের পর এবার ১৪ রানে পরাজয়। শুক্রবারের শেষ টি–টোয়েন্টি এখন কেবল মর্যাদা রক্ষার লড়াই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৪৯/৯ (হোপ ৫৫, অ্যাথানেজ ৫২; মোস্তাফিজ ৩/২১, রিশাদ ২/২০, নাসুম ২/৩৫)
বাংলাদেশ: ১৩৫/৮ (তানজিদ ৬১, জাকের ১৭; আকিল ২/১৭, হোল্ডার ২/২৩)
ফলাফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ী ১৪ রানে; সিরিজে ২–০ এগিয়ে।
মন্তব্য করুন