ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিক ও কার্যকরভাবে করতে হলে এর শেষ ঠিকানা তৈরি করতে হবে বলে জোর দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সিটি করপোরেশনের মতো স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন সংস্থাকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ব ই-বর্জ্য দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।
বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ)-এর উদ্যোগে দেশে প্রথমবারেরে মতো দিবসটি পালিত হয়েছে। এবছর দিবসটি মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘রিসাইকেল এনিথিং উইথ এ প্লাগ, ব্যাটারি অ্যান্ড ক্যাবল’।
দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ ভিশন ২০৪১ টাওয়ারে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিআইজেএফ।
আলোচনা সভায় মোস্তাফা জব্বার বলেন, কাউকে যদি বলি যে তুমি ই-বর্জ্য যত্রতত্র ফেল না। তাহলে তার মনে প্রশ্ন আসবে যে, কোথায় ফেলব, কোন ডাস্টবিনে ফেলব। ই-বর্জ্য সংগ্রহ করলেও সেটার শেষ ঠিকানা কী হবে, সেটা এখনও তৈরি করতে পারিনি। আমাদের সেই ঠিকানা তৈরি করতে হবে যেন বর্জ্য কীভাবে রিসাইকেল করা হবে সেটা ঠিক করতে হবে। এখানে সিটি করপোরেশনগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। ই-বর্জ্য নামে যে কিছু আছে, সেটা তারা জানে বলে মনে হয় না কারণ তাদের কোনো প্রচারণা দেখি না। সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে এখন গুরুত্বপূর্ণ ই-বর্জ্য। আমার ধারণা বাংলাদেশের প্রথম ই-বর্জ্য রেডিও সেট। আগামীতে সর্বোচ্চ ই-বর্জ্য তৈরি হবে টেলিভিশন আর মোবাইল ফোন।
ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি খাতের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে জব্বার বলেন, ঘরে ঘরে ই-বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। মানুষের হাতে হাতে ই-বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। ই-বর্জ্যকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে একটা ‘ফিনিসড প্রোডাক্ট’ তৈরি করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। ই-বর্জ্য থেকে প্রাপ্ত কাঁচামাল থেকে অন্য কোনো পণ্য তৈরি করা বা অন্য পণ্যে ব্যবহার করার কোনো ব্যবস্থা সেভাবে বাংলাদেশে নেই। তবে এ বিষয়ে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বেসরকারি খাত। তাই বেসরকারি খাতকে বিবেচনায় রেখে নীতিমালা করতে হবে।
মোবাইল ফোন থেকে যেন ই-বর্জ্য কম উৎপন্ন হয় সে জন্য আইনের আলোকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের মাধ্যমেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জব্বার।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জেআর রিসাইক্লিং সলুশন লিমিটেড এবং এনএইচ এন্টারপ্রাইজের সহযোগিতায় আয়োজিত এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং এফবিসিসিআইয়ের ইনোভেশন ও রিসার্চ সেন্টারের প্রধান নির্বাহী ডা. বিকর্ণ কুমার, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি সুব্রত সরকার, আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক, বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন প্রমুখ।
বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সমাপনী বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান।
এর আগে দিনের শুরুতে দিবসটি উদযাপনে বিভিন্ন প্লাকার্ড এবং ফেস্টুন নিয়ে এক বিশেষ র্যালির আয়োজন করে বিআইজেএফ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে দোয়েল চত্বরে গিয়ে শেষ হয় র্যালিটি।
মন্তব্য করুন