মাদক গ্রহণ ও ব্যবসার কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে নারীরা। এতে করে মাদক বিস্তারের কু-প্রভাবে নারীরা আরও সহিংসতার শিকার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইডের বক্তারা।
বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তারা।
মাদকের অপব্যবহার ও বিস্তার রোধে প্রশাসনের ব্যর্থতা এবং সমাজে মাদকের বিস্তার রোধ ও নারী-কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড, আন্দোলন উপ-পরিষদ এবং ঢাকা মহানগরের যৌথ আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেহানা ইউনূসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা, কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক হুমায়রা খাতুন, ঢাকা মহানগর শাখার লিগ্যাল এইড সম্পাদক শামীমা আফরোজ আইরিন, অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক জনা গোস্বামী; সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. রামলাল রাহাসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, মাদক গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে অধিক সংখ্যক তরুণ প্রজন্ম এই ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে মাদক বিস্তারের কু-প্রভাবে নারী আরও সহিংসতার শিকার হচ্ছে। নারীরাও মাদক গ্রহণ করছে ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে। গোটা সমাজকে মাদকমুক্ত করতে না পারলে এর সংক্রমণ ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।
পরিস্থিতি উত্তরণে করণীয় বিষয়ে বক্তারা বলেন, মাদকের বিস্তার রোধ ও নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে আইনের প্রয়োগে কঠোর হতে হবে; সততা ও দায়িত্বশীল মনোভাব নিয়ে পেশাদারিত্বের ভূমিকা পালন করতে হবে। সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার বিকাশ ঘটাতে হবে, সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে মাদকের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ডকে আরও সচেতন হতে হবে; মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও ব্যবহার করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করতে পরিবার ও সমাজকে তৎপর হতে হবে। সমাবেশ কর্মসূচির সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আইনজীবী অ্যাড. ফাতেমা খাতুন।
মন্তব্য করুন