প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া বিভাগে ‘স্কুলে অভুক্ত শিশুদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষতি’ প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনীন আখতার এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিভাগে ‘ভ্রান্ত ধারণা ও প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা’ শিরোনামের প্রতিবেদনের জন্য এটিএন বাংলার মো. শরফুল আলম প্রথম হয়েছেন।
প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া বিভাগে প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হন ‘হারিয়ে যাচ্ছে মাঠ, চার দেয়ালে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম’ প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক সংবাদের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাহিদা পারভেজ ছন্দা ও ‘দখলমুক্ত মাঠেও খেলতে মানা’ প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের নিজস্ব প্রতিবেদক ফয়সাল খান। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিভাগে প্রথম রানার আপ হয়েছেন চ্যানেল আইয়ের নিজস্ব প্রতিবেদক ‘বায়ুদূষণ’ রিপোর্টের জন্য জাকিয়া আকতার ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন ‘দেশে বাড়ছে বাল্যবিবাহ’ রিপোর্টের জন্য চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জিনিয়া কবির সূচনা।
নগরের নিম্ন আয়ের মানুষের বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জীবনমানের উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে গণমাধ্যমের মাধ্যমে নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টিগোচর করার লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ আয়োজন করে ‘মিডিয়া কম্পিটিশন ২০২৩’।
আজ শনিবার দুপুরে লেক শোর হোটেল গুলশানের লা ভিটা ব্যাঙ্কোয়েট হলে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আয়োজনে এবং ব্র্র্যান্ড কার্টের সহযোগিতায় এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের অর্থ পুরস্কার, সম্মাননা স্মারক ও প্রশংসাপত্র তুলে দেন প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি।এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেন, দারিদ্র্য দূর করতে হবে। কারণ দারিদ্র্য থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমরা এখন অনেক ভালো সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তিনি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, অতিরিক্ত সচিব মো. মনোয়ার হোসেন, পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, ‘মিডিয়া কম্পিটিশন-২০২৩’ এর প্রকল্প সমন্বয়ক শেখ সাইফুর রহমান।
এই প্রতিযোগিতার বিচারকমণ্ডলীর সদস্যরা হলেন- গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নেক্সাস টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সালাউদ্দিন লাভলু ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ শাহানা হুদা রঞ্জনা। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ফিল্ড অপারেশনের উপপরিচালক মঞ্জু মারিয়া পালমা।
উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের তরুণদের লালন করার ওপর জোর দিয়ে বলেন, তাদের বিকাশ কোনোমতেই ব্যাহত করা যাবে না।
পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ মনে করেন, সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়নে পিআইবি কাজ করে যাচ্ছে।
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, অতিরিক্ত সচিব মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ৪টি প্রকল্পের মাধ্যমে অন্তত ২ লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম থেকে স্বাভাবিক কাজে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৮-১০টি প্রকল্প সামনে আসছে। এজন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও প্রফেসর ইমেরিটাস ডা. আতিউর রহমান দারিদ্র্যকে ভূতের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তবেই দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব হবে। কারণ পার্টনারশিপেই সম্ভব উন্নয়নে সফলতা।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের কার্যক্রম সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেন প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ডিরেক্টর– অপারেশন্স চন্দন জেড গোমেজ।
এই মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান শুরু হয় ওয়ার্ল্ড ভিশনের শিশুদের নাচ আর শিশু ও যুব ফোরামের ছেলেমেয়েদের নাটিকা দিয়ে।
মন্তব্য করুন