সরকার লিঙ্গ হিসেবে হিজড়াকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু হিজড়া লিঙ্গ নয়। হিজড়া একটি সম্প্রদায়। হিজড়া সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চাকরি ইত্যাদি অধিকার ও মানোন্নয়নে কাজ করছে সামাজিক সংগঠন ‘বন্ধু’।
ইউএসএইডস-এর সমতা প্রজেক্টের আওতায় আজ রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বন্ধুর আয়োজনে সেমিনার কক্ষে ঢাকা বিভাগের ডিভিশনাল মিডিয়া ফোরামের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিশিষ্টজনরা এসব কথা বলেন।
তানভীর বলেন, হিজড়া সম্প্রদায়ের অধিকার, মানোন্নয়ন নিয়ে কিভাবে কাজ করা যায় এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়, পরামর্শ গ্রহণের জন্যই এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। হিজড়া সম্প্রদায় নিয়ে সংবাদ লিখলে তাদের তৃতীয় লিঙ্গ সম্বোধন করা হয়। তৃতীয় লিঙ্গ বলে আসলে কিছু নেই।
ইউএসএইডস-এর সমতা প্রজেক্টের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. মশিউর রহমান বলেন, মিডিয়া লেখা বা প্রচারের মাধ্যমে অনেক কিছু পরিবর্তন করতে পারে। সেই জায়গা থেকেই ৮টি বিভাগে আমাদের ফোরাম কাজ করছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবন মানোন্নয়নে একটি সেতু তৈরি করতে চাই। হিজড়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাদের কথা তুলে ধরতে পারবেন। প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মো. আরিফুল হাসান হিজড়া সম্প্রদায়ের মানবিক অধিকার, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা, জেন্ডার সমতা, জেন্ডার বেইসড এসআরএইচআর সেবা প্রদানের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, লিঙ্গ-বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠী সমাজ থেকে আলাদা নয়, তারা সমাজেরই অংশ। অন্যদিকে ইন্টারসেক্স বা আন্তঃলিঙ্গীয় মানুষ সব ট্রান্সজেন্ডার নয়, সব হিজড়াও ট্রান্সজেন্ডার নয়। ইন্টারসেক্স মানুষ যারা হিজড়া সম্প্রদায়ে যুক্ত হবেন তারা হিজড়া হবেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সমতা প্রজেক্টের রুহুল রবিন খান।
মন্তব্য করুন