কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিশ্বজুড়ে শুধু গরমেই বছরে মারা যান ১৮৯৭০ শ্রমিক

তীব্র গরমে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন শ্রমিকরা। ছবি : সংগৃহীত
তীব্র গরমে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন শ্রমিকরা। ছবি : সংগৃহীত

তীব্র গরম ও তাপদাহে বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর প্রায় ১৯ হাজার শ্রমিকের মৃত্যু হচ্ছে। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন দুই কোটিরও বেশি শ্রমজীবী মানুষ। সোমবার (২২ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত ‘জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সব অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। ৩৪০ কোটি শ্রমশক্তির মধ্যে ২৪০ কোটি মানুষই কোনো না কোনোভাবে অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন।

এতে বলা হয়, বিশ্বের ৭০ শতাংশের বেশি শ্রমিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। এমনকি কর্মক্ষেত্রে বিদ্যমান যে সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা (ওএসএইচ) রয়েছে তা এই ঝুঁকি সামলাতে যথেষ্ট নয়। তাপদাহ ছাড়াও শ্রমিকদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের নানা প্রভাব রয়েছে। এসব প্রভাব শ্রমিকদের ওপর ‘বিপদের পাহাড়’ সৃষ্টি করছে। তারা বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন।

আইএলও বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কর্মীদের মধ্যে ক্যানসার, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা, কিডনি অকেজো হওয়া এবং মানসিক সমস্যার মতো স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

আইএলওর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় ৩ লাখ, কর্মক্ষেত্রের বায়ুদূষণে ৮ লাখ ৬০ হাজার, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মিতে ১৮ হাজার ৯৬০ জন এবং পরজীবী ও প্রাণী থেকে মানুষের দেহে আসা রোগে আরও ১৫ হাজার ১৭০ জনের মৃত্যু হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বলেছে, তীব্র গরমে কাজ করা শ্রমিকরা কিডনির চরম অসুখে ভুগছেন। এতে করে কৃষিখাতে কাজ করা শ্রমিকদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি দেখা যাচ্ছে।

আইএলওর ওএসএইচ টিমের প্রধান মানাল আজ্জি বলেছেন, এটি স্পষ্ট, জলবায়ু পরিবর্তন এরই মধ্যে শ্রমিকদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করেছে। এসব সতর্কতা আমাদের আমলে নেওয়া উচিত। তাই জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধী নীতি গ্রহণের সময় আমাদের অবশ্যই শ্রমিকদের পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শুধু নীতি গ্রহণ নয়, পাশাপাশি কাজও করতে হবে। শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ আইএলওর মৌলিক নীতিমালার মধ্যেই রয়েছে। সুতরাং আমাদের সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে।

প্রতিবেদনটিতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বর্তমানে বিভিন্ন দেশের কর্মকাণ্ডও তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নতুন আইন, প্রবিধান এবং নির্দেশিকা সংশোধন বা তৈরি করা। একই সঙ্গে কাজের পরিবেশ উন্নত করতে জলবায়ু প্রশমন কৌশল গ্রহণ করার মতো বিষয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

ডে কেয়ার সুবিধাসহ চাকরি দিচ্ছে ব্র্যাক

বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের যত খেলা

১৬ সেপ্টেম্বর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৬ সেপ্টেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস

ভোজ্যতেল আমদানির খরচ বাড়াল সরকার

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় প্রেভেইল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ 

‘যারা ফ্যাসিস্ট তাদের আমরা আইনের আওতায় আনব’

১০

কর কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানকে বরখাস্ত

১১

নুরের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল  

১২

হংকংকে বিদায় করে সুপার ফোরে এক পা লঙ্কানদের

১৩

প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দূতাবাসে বদলি

১৪

মতামত ছাড়া বিভাগের প্রস্তাবনা, ঐকমত্য কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ 

১৫

আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রদল নেতা

১৬

তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

১৭

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্গাপূজার ছুটি কবে থেকে শুরু

১৮

ডাকসুর ভোট এবার ম্যানুয়ালি গণনার জন্য উমামার লিখিত আবেদন

১৯

আরও বাড়ল ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

২০
X