সুদানের বন্দরনগরী পোর্ট সুদানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। এর ফলে এক সময় শান্তিপূর্ণ বলে পরিচিত শহরটি টানা তৃতীয় দিনের মতো সহিংসতায় কেঁপে উঠেছে।
মঙ্গলবার (০৬ মে) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরপর কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং দেখা গেছে বিশাল অগ্নিকাণ্ড। বর্তমানে দেশটির প্রধান সমুদ্রবন্দর সংলগ্ন এলাকা থেকে ঘন কালো ধোঁয়া উঠছে। এই শহরে যুদ্ধবিধ্বস্ত অন্যান্য অঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
আল জাজিরার খার্তুম থেকে প্রতিবেদক হিবা মরগান জানান, স্থানীয়রা দাবি করেছেন যে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ড্রোন হামলার মাধ্যমে পোর্ট সুদানে অবস্থিত একটি জ্বালানি গুদাম ও অন্যান্য স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।
তিনি বলেন, বন্দরের আশপাশ এবং শহরের বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, এগুলো আরএসএফের ড্রোন হামলা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার দেশের একমাত্র সচল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি শহরের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়। পরদিন সোমবার শহরের জ্বালানি গুদামগুলোতে টার্গেট করে আরও হামলা হয়। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরএসএফকে এসব হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছে।
সামরিক সূত্র জানায়, সেনাবাহিনী এর জবাবে আরএসএফ নিয়ন্ত্রিত নয়ালা বিমানবন্দরে বিমান ও অস্ত্র গুদাম ধ্বংস করেছে। তবে গোষ্ঠীটি হামলার দায় স্বীকার করেনি।
এই হামলার ঘটনায় প্রতিবেশী দেশ মিসর ও সৌদি আরব নিন্দা জানিয়েছে এবং জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে যুদ্ধ এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষকে ঘরছাড়া করেছে। জাতিসংঘ বলছে, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী বর্তমানে তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে। আর এই নতুন হামলা সেই সংকটকে আরও প্রকট করে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ পোর্ট সুদানে জাতিসংঘ, ত্রাণ সংস্থা এবং সরকার-ঘনিষ্ঠ দপ্তরগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন