চীনের বেইজিংয়ে ঘূর্ণিঝড় ডোকসুরির প্রভাবে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে তৃতীয় ঘূর্ণিঝড় এটি। এর ফলে বিভিন্ন জেলায় ট্রেন ও ট্রাফিক ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খবর বিবিসির।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ঘূর্ণিঝড় ডোকসুরি টানা চতুর্থদিনের মতো বেইজিংয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় খানুন পূর্ব উপকূল অতিক্রম করছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া ৫০ হাজারের বেশি নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বেইজিংয়ের উত্তরাঞ্চল, তিয়ানজিং ও হেবেই প্রদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে সতর্কবার্তা জানিয়েছেন জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার পানিবন্দি বিভিন্ন এলাকায় জরুরি ত্রাণসহায়তা দিয়েছে। বিপর্যস্ত এলাকার মধ্যে অন্যতম হলো বেইজিংয়ের পশ্চিমাঞ্চলের জেলা মেনতোগু। বন্যায় জেলার প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ফ্লাইট ট্রাকার অ্যাপ ফ্লাইট মাস্টারের তথ্যানুসারে, বন্যার কারণে মঙ্গলবার অন্তত ৪০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) ঘূর্ণিঝড় ডোকসুরি চীনের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের ফুজিয়ান প্রদেশে আঘাত হানে। এতে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধস হয়। এরপর এটি দক্ষিণে রাজধানী অভিমুখী হয়। এর এক সপ্তাহ আগে ঘূর্ণিঝড় তালিম দেশটিতে তাণ্ডব চালায়।
চীনের আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত বেইজিংয়ে গড়ে ১৭০ দশমিক ৯ মিলিমিটার (৬ দশমিক ৭ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা পুরো জুলাই মাসের গড় বৃষ্টিপাতের সমান।
মন্তব্য করুন