যদি যুক্তরাষ্ট্র তার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের দাবি ছেড়ে দেয়, তাহলে উত্তর কোরিয়া আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এ শর্তের কথা জানান।
২০১৮-১৯ সালের মধ্যে কিম জং উন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনবার বৈঠক করেছিলেন। প্রথমবার সিঙ্গাপুরে একটি প্রাথমিক চুক্তি হলেও, পরে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে দ্বিতীয় বৈঠকটি নিষ্পত্তিহীনভাবে শেষ হয়। তৃতীয়বার তারা সীমান্তে (পানমুনজম) দেখা করলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
উত্তর কোরিয়া বহুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র ছাড়ার দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা বলছে, তাদের পারমাণবিক শক্তির মর্যাদা এখন দেশের আইনে চিরস্থায়ীভাবে স্বীকৃত এবং তা আর পরিবর্তন করা যাবে না।
সম্প্রতি জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার মিশন এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএর) বোর্ড মিটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অস্ত্রকে অবৈধ বলে উল্লেখ করে একটি ‘গুরুতর রাজনৈতিক উস্কানি’ দিয়েছে। উত্তর কোরিয়া জানায়, তারা ১৯৯৪ সালেই আইএইএ থেকে বেরিয়ে গেছে। এরপর থেকে এই সংস্থার সঙ্গে তাদের আর কোনো সম্পর্ক নেই।
এই বিবৃতির কয়েকদিন আগে কিম জং উন তাদের অস্ত্র গবেষণা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন। সে সময় পারমাণবিক ও প্রচলিত দুই ধরনের সামরিক শক্তি আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। সূত্র : শাফাক নিউজ
মন্তব্য করুন