ফিলিপাইনের এক কথিত প্রেমকেন্দ্র থেকে শতাধিক নারী-পুরুষ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের দিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা কাজ করাত একটি চক্র।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কথিত ওই প্রেমকেন্দ্রে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় ফিলিপাইনের ৩৮৩ জন, চীনের ২০২ জন এবং বিভিন্ন দেশের ৭৩ জনকে উদ্ধার করে।
সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন প্রতারণার কেন্দ্র হয়ে ওঠেছে। প্রতারণার অবস্থা এতটাই খারাপ- সময়ে সময়ে প্রতারকরাই প্রতারণার শিকার হন।
প্রযুক্তি সম্পর্কে যাদের ভালো জানাশোনা অথবা তরুণ ব্যক্তিদের লোভ দেখিয়ে এধরনের প্রতারণায় যুক্ত করা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে- অর্থপাচার, প্রেমে প্রতারণা এবং ক্রিপ্টো।
প্রতারকরা প্রথমে টার্গেটকৃত নারী-পুরুষ ব্যক্তিদের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয় তারা।
প্রতারকদের কাছ থেকে পালিয়ে উদ্ধার পাওয়া এক ভিয়েতনামি নাগরিকের তথ্যানুযায়ী, প্রতারকরা তাকে একটি কেন্দ্রে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। পরে জোরপূর্বক তাকে দিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করাত। সেখান থেকে পালিয়ে এক খামারির বাড়িতে আশ্রয় নেন। খামারি তাকে নিয়ে পুলিশের কাছে যায়। পুলিশ তার তথ্যের ভিত্তিতে ওই প্রেমকেন্দ্রে অভিযান চালায়। পরে সেখান থেকে অনেক নারী-পুরুষ উদ্ধার করা হয়।
৩০ বছর বয়সী ভিয়েতনামের এ নাগরিক রাঁধুনীর চাকরি দেওয়ার কথা বলে ফিলিপাইনে নিয়ে আসে প্রতারকরা। এরপর ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা থেকে একশ মাইল দূরে কোনো এক স্থানে তাকে আটক করা হয়। পরে তিনি বুঝতে পারেন তিনি মানব চক্রের হাতে পড়েছেন। প্রতারকদের হাত থেকে অনেকে পালানোর চেষ্টা করলেও তিনি ছাড়া সবাই ধরা পড়ে যান। কিন্তু ভিয়েতনামের ওই নাগরিক দেওয়াল টপকে পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে সমর্থ হন।
এ কাজে প্রতারকরা মূলত দেখতে সুন্দর নারী-পুরুষদের ব্যবহার করত। এক্ষেত্রে চীনের নাগরিকদের বেশি টার্গেট করত তারা।
মন্তব্য করুন