মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। গত কয়েক মাসে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শহরের দখলও নিয়ে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। বিশেষ করে সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে তারা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে সেনারা।
একের পর এক সেনাঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিচ্ছে কেএনইউ, আরাকান আর্মিসহ অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীর যোদ্ধারা। এবার মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডের সঙ্গে যুক্তকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত সেতুর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা বাহিনী।
মিয়ানমারের মায়াওয়াদ্দি শহরটির অবস্থান থাইল্যান্ডের ম্যাসো শহরের কাছাকাছি। স্থানীয় গণমাধ্যম ও একটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর মুখপাত্র জানিয়েছে- এই সেতুটি মিয়ানমারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের সাথে সংযুক্ত। সেতুটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা সরকার।
এই শহরটিতে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)। পালিয়ে যাওয়া প্রায় ২০০ জান্তা সেনা থাইল্যান্ডের সীমান্ত ক্রসিংয়ে জড়ো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেএনইউয়ের মুখপাত্র স তাও নি। এখন পর্যন্ত জান্তা সেনাদের আশ্রয় দেয়নি থাই সরকার। এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স মিয়ানমার জান্তা সরকারের মুখপাত্রের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো সারা দেয়নি।
এর কিছুদিন আগে কেএনইউ জানিয়েছিল, তারা মায়াওয়াদ্দিতে একটি সেনাঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে সেখানে থাকা ৬০০ সেনা ও তাদের পরিবারকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে নিজেদের সীমান্ত সুরক্ষায় সামরিক শক্তি জোরদার করেছে থাইল্যান্ড।
মিয়ানমারের জান্তা ও সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যকার লড়াইয়ে জান্তা সরকারের অবস্থান অনেকটাই নড়বড়ে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে সেনারা।
প্রায় প্রতিদিনই জান্তার একাধিক সেনাঘাঁটি দখলে নিচ্ছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। প্রতিরোধযোদ্ধাদের হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে অনেক সেনা। অনেকে পালিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশে। এ নিয়ে গত ২২ দিনে রাজ্যটিতে ৬০টির বেশি সেনাঘাঁটির দখল নিল বিদ্রোহীরা।
মন্তব্য করুন