নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এবার আইফেল টাওয়ারের চূড়ায় উঠেছেন এক ব্যক্তি। এরপর তিনি সেখান থেকে লাফও দিয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ওই ব্যক্তি টাওয়ারের চূড়ায় ওঠেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইকনিক এ টাওয়ার খোলার আাগেই এক ব্যক্তি সেটির চূড়ায় উঠে যান। তিনি অভিজ্ঞ পর্বতারোহী। ফলে কোনো বাধা ছাড়াই একেবারে ওপরে উঠে পড়েন। এরপর সেখান থেকে প্যারাসুটের সাহায্যে লাফ দেন।
আইফেল টাওয়ারের রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান এসইটিই জানিয়েছে, অভিজ্ঞ ওই পর্বতারোহী টাওয়ারে ওঠার এক মিনিটের মধ্যে নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে শনাক্ত করেন। এরপর তাকে থামানোর চেষ্টা করা হলেও তিনি কথা শোনেননি। লাফ দেওয়ার তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এসইটিই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। সংস্থাটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তার এমন দায়িত্বহীন আচরণের কারণে স্থাপনা বা নিচের বিভিন্ন মানুষের বিপদের আশঙ্কা ছিল। এ জন্য বৃহস্পতিবার টাওয়ারটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করতে দেরি হয়।
এর আগে রোববার (১৩ আগস্ট) রাতে আইফেল টাওয়ারের নিষিদ্ধ জায়গায় রাত কাটান দুই মাতাল। পরে সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে তাদের ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ওই দুই মাতাল রোববার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে টিকিট নিয়ে প্রবেশ করে। এরপর তারা সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় নিরাপত্তরক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে নিষিদ্ধ জায়গায় ঢুকে পড়ে। তাদের দুই ও তিন তলার মাঝের একটি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়। জায়গাটিতে সাধারণ মানুষের প্রবেশের সুযোগ নেই।
তারও আগে গত শনিবার (১২ আগস্ট) আইফেল টাওয়ারে বোমা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে তাৎক্ষণিক সব দর্শনার্থীদের সরিয়ে নেওয়া হয়। ওইদিন টাওয়ারের তৃতীয় তলায় বোমা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আইকনিক এ টাওয়ারটি ১৮৮৭ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শুরু হয়। এটি শেষ হয় ১৮৮৯ সালের ৩১ মার্চ। ১৮৮৯ সালে এ দৃষ্টিনন্দন টাওয়ার দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার ওই বছর ২০ লাখ দর্শনার্থী পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া গত বছর ৫৮ লাখ দর্শনার্থী এটি পরিদর্শন করেন।
মন্তব্য করুন