রাশিয়ার মস্কোয় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত রুশ ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের শেষকৃত্যে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত বুধবার (২৩ আগস্ট) মস্কোর টিভের অঞ্চলে একটি বেসরকারি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানের ১০ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। বিধ্বস্ত বিমানে প্রিগোজিনও ছিলেন।
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে প্রথমে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হলেও গতকাল রুশ তদন্ত দল জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হয়েছেন।
প্রিগোজিনের শেষকৃত্যে পুতিন যোগ দিবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্টের উপস্থিতি নিয়ে এখনো পরিকল্পনা করা হয়নি। এমনকি তার শেষকৃত্য নিয়ে ক্রেমলিনের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। এটা তাদের পারিবারিক বিষয়।
প্রিগোজিনের শেষকৃত্যে অংশ না নিলেও তার মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়েছেন পুতিন। তিনি বলেন, বহু বছর ধরে তিনি প্রিগোজিনকে চেনেন। ৯০-এর দশকের সেই বিশৃঙ্খল সময় থেকে।
প্রিগোজিনকে প্রতিভাবান ব্যবসায়ী উল্লেখ করে রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তিনি মন্দ কপালের মানুষ ছিলেন। তিনি জীবনে গুরুতর ভুল করেছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেই পরিচিত ছিলেন ওয়াগনারপ্রধান প্রিগোজিন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল ওয়াগনার সেনারা। এমনকি ইউক্রেনের বাখমুত শহর দখলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে ওয়াগনার বাহিনী।
তবে রুশ সামরিক নেতাদের প্রতি অসন্তোষ থেকে গত ২৩ জুন বিদ্রোহের ঘোষণা দেন প্রিগোজিন। যদিও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় সেই বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন তিনি। এ বিদ্রোহের পর পুতিনের চক্ষুশূলে পরিণত হন প্রিগোজিন।
এ বিদ্রোহের দুই মাস পর গত বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে মস্কোর টিভের অঞ্চলে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোজিন ও ওয়াগনার কমান্ডার দিমিত্রি উটকিনসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন