কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১৪ পিএম
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজা শাসনের দায়িত্ব নিতে চায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ

অন্যান্যদের সঙ্গে মাহমুদ আব্বাস। ছবি : সংগৃহীত
অন্যান্যদের সঙ্গে মাহমুদ আব্বাস। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর প্রথমবারের মতো বিবৃতি দিয়েছেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করতে প্রস্তুত।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রেসিডেন্সি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি আব্বাসের নির্দেশে ফিলিস্তিনি সরকার গাজার পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে থাকবে বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবর্তন, মৌলিক পরিষেবা প্রদান, ক্রসিং ব্যবস্থাপনা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের পুনর্গঠন।

আলজাজিরার শনিবারের (১৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত বিবৃতিতে আব্বাস সরকার অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং গাজা উপত্যকা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।

২০০৭ সাল থেকে গাজা হামাসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপরদিকে ফাতাহ আন্দোলনের আধিপত্যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীর শাসন করে। অবশ্য অঞ্চলটি ইসরায়েলি বাহিনীর দখলে এবং তারা প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনিদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে।

বর্তমানে, যুদ্ধোত্তর গাজার শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে ইসরায়েলের কোনো নির্দিষ্ট অবস্থান নেই। উপত্যকাটিতে হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ উভয়ের ভূমিকা প্রত্যাখ্যান করা ছাড়াই চুক্তিটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে ইসরায়েল।

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে এ অঞ্চলের যুদ্ধ বন্ধের আশা দেখা দিচ্ছে। কারণ, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা বলছে- গাজার বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তারা সামরিক অভিযান বন্ধ করবে। ইয়েমেনভিত্তিক হুতিদের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মোহাম্মদ আল-বুখাইতি এ কথা বলেছেন।

আলজাজিরার শনিবারের (১৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি বিষয়ে ইয়েমেনভিত্তিক হুতিদের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মোহাম্মদ আল-বুখাইতি এক্সে একটি পোস্টে করেন। তাতে বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাবে কিন্তু সংঘাতের অবসান ঘটাবে না।

তিনি আরও বলেন, গাজাকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে ইয়েমেনের ভূমিকা কার্যকর ছিল। কারণ, এটি শত্রু এবং তার মিত্রদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এবং তাদের অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। তাই আমরা আশা করি, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উপায়ে শত্রুতা অব্যাহত থাকবে।

আল-বুখাইতি বলেন, আমরা নিশ্চিত করছি যে- ফিলিস্তিনে আগ্রাসন বন্ধ হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমাদের সামরিক অভিযান বন্ধ হবে। আর নৌচলাচলের স্বাধীনতা সকল দেশের জন্য একটি সাধারণ অধিকার; কারও জন্য নির্বাচিত অধিকার নয়।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির ফলে গাজার চলমান সংঘাতের অবসান হতে যাচ্ছে। ১৫ মাসের ভয়াবহ সংঘাতে প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং লক্ষাধিক মানুষ আহত হয়েছে। এই চুক্তি আগামীকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায় ইইউ

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে নবীনদের বরণ ছাত্রদলের

বাংলাদেশ ম্যাচের আগে আফগান শিবিরে দুঃসংবাদ

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস- সৃষ্টি যার বিধান তার?

সামাজিক মাধ্যমের বদৌলতে একের পর এক স্বৈচারের পতন

বিয়ে করে বাংলাদেশি নারীকে পাচারের পরিকল্পনা করছিলেন চীনা নাগরিক

হানিট্র্যাপের ফাঁদে বিএনপি নেতা

জামায়াত নেতার সঙ্গে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

মসজিদে ঢুকে প্রাণে রক্ষা পান পুলিশ সদস্যরা

তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৬ হাজার

১০

শিং মাছ খেলে শরীরে সত্যিই রক্ত বাড়ে কিনা জানাচ্ছেন চিকিৎসক

১১

৬ শিল্প কারখানার গ্যাস-বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

১২

বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী সিঙ্গাপুর

১৩

জন্ম হওয়া ছয় যমজ সন্তানের ৫ জনই মারা গেছেন

১৪

কার সঙ্গে বাগদান সারলেন হুমা!

১৫

সেপ্টেম্বরের ১৩ দিনে রেমিট্যান্স আসেনি যে ১০ ব্যাংকে

১৬

শাকসু নির্বাচন কবে হতে পারে জানালেন উপাচার্য

১৭

এবার হেলিকপ্টার ডাকা যাবে উবার অ্যাপে, ভাড়া কত?

১৮

মেজো ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু

১৯

‘পিছে দেখো, পিছে’  / ভাইরাল সেই আহমদ শাহর ছোট ভাই মারা গেল যেভাবে

২০
X