গাজায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি ‘অনাহারে’ রয়েছেন বলে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস। তিনি বলেন, ইসরায়েলের ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়ার জন্য এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলের ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণ বাধাদানের কারণে গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বাড়ছে। তিনি জানান, গাজায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ অনাহারে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. টেড্রোস জানান, ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য জাতিসংঘ সংস্থাগুলো গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে, তবে ইসরায়েলের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। ইসরায়েল মার্চ মাস থেকে গাজায় অবরোধ আরোপ করে রেখেছে, যার ফলে এই অঞ্চলের জনগণ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে।
তিনি বলেন, অবরোধের দুই মাসের মাথায়, ২০ লাখ মানুষ অনাহারে রয়েছে। সীমান্তের কাছে মাত্র কয়েক মিনিটের দূরত্বে ১ লাখ ৬০ হাজার টন খাদ্য আটকে রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান উল্লেখ করেন, সীমান্তে ওষুধ আটকে থাকায় মানুষ প্রতিরোধযোগ্য রোগে মারা যাচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালে হামলার কারণে মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, কূটনৈতিক কারণে গাজায় দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। তার সরকার সীমিত পরিমাণে খাদ্য সহায়তার অনুমতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে, ডব্লিউএইচও প্রধানের মতে, এই সহায়তা পরিস্থিতির উন্নতিতে যথেষ্ট নয়।
এর আগে গাজায় আসন্ন দুর্ভিক্ষের কথা স্বীকার করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, গাজার মানুষ অনাহারে রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাবে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, গাজায় ২০২৩ সাল থেকেই মানবিক সংকট গভীরতর হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে, পানীয় জলের সংকট চরমে পৌঁছেছে, এবং খাদ্যের ঘাটতি প্রতিদিন বাড়ছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা গাজায় দ্রুত ত্রাণ প্রবেশের আহ্বান জানিয়েছে, তবে ইসরায়েলের নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে সেই ত্রাণ প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন