কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম
আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, ০৯:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নাকবা দিবসে গাজায় ব্যাপক হামলা, নিহত শতাধিক

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত বসতি। ছবি : সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত বসতি। ছবি : সংগৃহীত

ঐতিহাসিক নাকবা দিবসের ৭৭তম বর্ষপূতি আজ। এদিন গাজায় ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় ১০৩ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গত ১৯ মাস ধরে চলা নিরবচ্ছিন্ন বোমা হামলার ফলে এই মৃত্যুর সংখ্যা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

এই হামলার সময় ফিলিস্তিনিরা নাকবার ৭৭তম বার্ষিকী পালন করছে। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের সময় জায়নবাদী সামরিক গোষ্ঠীগুলোর হাতে ৭ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি জোরপূর্বক উচ্ছেদ হয়েছিল, যা নাকবা বা ‘মহাবিপর্যয়’ নামে পরিচিত।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে রাতভর এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলা হামলায় কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত হয়েছেন। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে অনেকেই শিশু। এছাড়া উত্তর গাজার গাজা সিটি এবং জাবালিয়াতেও ইসরায়েলি হামলা চালানো হয়েছে।

আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজ্জুম দেইর এল-বালাহ থেকে জানিয়েছেন, গাজায় এটি ‘আরেকটি রক্তাক্ত দিন’। তিনি বলেন, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান খান ইউনিস শহরে কোনো সতর্কতা ছাড়াই নয়টি বাড়ি সরাসরি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি পরিবার সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

নাকবা দিবস (আরবি : يوم النكبة, ইওম আন-নাকবা, অর্থ ‘বিপর্যয়ের দিন’) প্রতি বছর ১৫ মে পালিত হয়। এদিন ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় ফিলিস্তিনি আরবদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, জাতিগত নির্মূল, এবং তাদের সমাজ, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের ধ্বংসের স্মরণে পালন করা হয়। এই ঘটনাকে ফিলিস্তিনিরা ‘নাকবা’ বা ‘বিপর্যয়’ হিসেবে অভিহিত করে।

১৯৪৮ সালের আরব ইসরায়েল যুদ্ধের সময় প্রায় ৭,৫০,০০০ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত হয় বা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়, যারা পরে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়। এই দিনটি ফিলিস্তিনিদের জন্য তাদের অধিকার, বিশেষ করে উদ্বাস্তুদের ফিরে আসার অধিকার (Right of Return), এবং স্বাধীনতার দাবির প্রতীক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৭০৮ সরকারি কলেজকে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ

ইউএস বাংলার সাময়িকীর কনটেন্ট তৈরি করবে অ্যানেক্স কমিউনিকেশনস

সাদিয়া আয়মানের সমুদ্র বিলাশ

পৌরসভার পরিত্যক্ত ভবনে মিলল নারীর মরদেহ 

কড়াইলের আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

প্রশাসনের ৭ কর্মকর্তার পদোন্নতি

যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ ও মিডিয়া কনফারেন্সে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা

এবার জুবিনের মৃত্যু নিয়ে উত্তাল বিধানসভা

‘সুখবর’ পেলেন বিএনপির আরেক নেত্রী

বাজার থেকে টিসিবির ২৪৮ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার আটক

১০

দারিদ্র্যসীমা নিয়ে বাংলাদেশকে দুঃসংবাদ দিল বিশ্বব্যাংক

১১

সাড়ে ৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি কড়াইল বস্তির আগুন, পুড়ল শতাধিক ঘর

১২

ভুলেও এআই চ্যাটবটকে এই ১০ তথ্য দেবেন না

১৩

হাসপাতালে ঢুকে পড়ল সাপ, অতঃপর...

১৪

উত্তপ্ত যবিপ্রবি, স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

১৫

সাতক্ষীরায় বিএনপির তিন গ্রুপের দ্বন্দ্ব, নেতাকর্মীদের আস্থায় রহমতুল্লাহ পলাশ

১৬

আশাশুনি-কালীগঞ্জে সন্ত্রাস ও দখলবাজির স্থান হবে না : কাজী আলাউদ্দিন

১৭

৩০ বছরের বিরোধ মিটিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

১৮

দেখে নিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচের সূচি

১৯

তনির বিরুদ্ধে সাবেক স্বামীর এজাহার, জবাবে যা বললেন

২০
X