ইরাকের কিরকুক শহরে আরব ও কুর্দিদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরজুড়ে কারফিউ (সান্ধ্য আইন) জারি করা হয়েছে।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি কিরকুকে কারফিউ জারি করেছেন। সংঘর্ষে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় হওয়ায় তিনি এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ সময়ে তিনি সব পক্ষকে সংঘাত প্রতিরোধ ও প্রশাসনকে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আরব ও কুর্দিদের মধ্যকার এ সংঘর্ষে এক বেসামরিক লোক নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা জিয়াদ খালাফ এএফপিকে বলেন, সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা এখনো স্পষ্ট নয়। এ সময়ে ছোড়া বুলেট, কাঁচ ও পাথরের আঘাতে অনেকে আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বিভাগের এক সদস্যও রয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কিরকুক এলাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলছে। এ অঞ্চল নিয়ে বাগদাদের ফেডারেল সরকার ও কুর্দিদের মাঝে ঐতিহাসিকভাবে বিতর্ক চলছে। অঞ্চলটিতে কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির (কেডিপি) সদর দপ্তর ছিল। পরে ২০১৭ সালে তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে ইরাকের সেনাঘাঁটি স্থাপন করা হয়।
দেশটির কর্মকর্তারা জানান, গত সপ্তাহে কেডিপিকে ইরাক সরকার তাদের ভবন পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর থেকে আরব ও তুর্কমেন বিরোধীরা ভবনের সামনে এর বিরোধিতা করে অবস্থান নেয়। পরে শনিবার কুর্দিদের সঙ্গে বিরোধে জড়ালে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এতে পরিস্থিতি অবনতি হলে কারফিউ জারি করা হয়।
মন্তব্য করুন