মুসলিম বিশ্বের পুণ্যভূমি সৌদি আরব। যেখানে রয়েছে অসংখ্য নবী-রাসুলের স্মৃতিচিহ্ন। বিশেষ করে শেষনবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের জীবনের বহু নিদর্শন ও ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে পবিত্র মক্কা ও মদিনায়। ধর্মীয় সেই ভাবগাম্ভীর্য আর অনুভূতি নিয়ে প্রতি বছর হজ ও ওমরা পালনে সেখানে যান সারা বিশ্বের কোটি কোটি মুসল্লি। বর্তমানে সে দেশেই ইসলামে হারাম বা মাকরুহ বিবেচিত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ক্ষমতায় আসার পর ২০২১ সালে এই সৌদি আরব ঘিরেই ‘সৌদি ভিশন ২০৩০’ নামে গিগা প্রজেক্ট হাতে নেন বাদশাহ সালমান। তার মূল লক্ষ্য তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশকে বহুমুখী উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়া। এরই অংশ হিসেবে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিসর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার।
সৌদি গেজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী সংগীত, সিনেমা, থিয়েটার ও অভিনয় বিষয়ক একাডেমিক প্রোগ্রাম বাড়াতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির শূরা কাউন্সিল। এ লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক কমিশনগুলোকে সম্পূর্ণ আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বাধীনতা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার শূরা কাউন্সিলের বৈঠকে জাতীয় জাদুঘরের প্রদর্শনীগুলোতে নতুনত্ব আনারও আহ্বান জানানো হয়। জাদুঘরে প্রতিনিয়ত যেন নতুন আবিষ্কৃত নিদর্শনগুলো যুক্ত করা হয়, সেজন্য জোর তাগিদ দেন শূরা কাউন্সিলের সদস্যরা। সৌদি সরকার চায়, স্কুল এবং স্থানীয়ভাবে থিয়েটার কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে।
মন্তব্য করুন