ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে হামাস। এই যুদ্ধবিরতি শেষ হলে চলতি মাসের শেষের দিকে বিবদমান দুপক্ষের মধ্যে আরেকটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন এই চুক্তি হলে আরও ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। হামাসের হাতে বন্দি ২৪০ জন জিম্মির মধ্যে মোট ১০০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। ইসরায়েলি জিম্মিদের বিনিময়ে দুই দফায় মোট ৩০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এরই মধ্যে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত নারী ও শিশুর তালিকা প্রকাশ করেছে ইসরায়েল।
এর আগে বুধবার সকালে বেশ কয়েক দিনের দরকষাকষির পর গাজা উপত্যকায় কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল ও হামাস। এরপর হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মুসা আবু মারজুক আলজাজিরাকে বলেছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই যুদ্ধবিরতি গাজার সব এলাকায় কার্যকর হবে। আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাজার আকাশে ইসরায়েলের কোনো যুদ্ধবিমান বা সাধারণ বিমান চলাচল করবে না।
চুক্তি অনুযায়ী, হামাসের হাতে জিম্মি ৫০ বন্দির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় চার দিন সব ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখবে ইসরায়েল। পাশাপাশি ২৩ লাখ মানুষের এই অঞ্চলে মানবিক, চিকিৎসা সহায়তা ও জ্বালানি নিয়ে শত শত ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেবে ইসরায়েলি বাহিনী।
তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের এই সময়ের ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। একটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যা নাগাদ যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সময় জানাতে পারে ইসরায়েল।
মন্তব্য করুন