আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্য চেয়েছে ইসরায়েল। দীর্ঘ দুই মাসের যুদ্ধে হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে না পেরে এবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্য চেয়েছে তারা। বুধবার (৬ নভেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, গাজায় এখনো হামাসের হাতে ইসরায়েলের ১৩৮ বন্দি রয়েছে। তিনি এসব বন্দিকে হামাসের হাত থেকে মুক্তি নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
হ্যাগারি বলেন, আমাদের গোয়েন্দারা বন্দিদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। হামাসের কাছে তাদের জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত বিপদের মুখে রয়েছে। প্রতিটা দিন, প্রতি ঘণ্টা, প্রতি মিনিট এখন তারা বিপদের মুখে পড়েছেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং বন্দিদের ব্যাপারে রেডক্রসের প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বন্দিদের উদ্ধারে তাদের সর্বোচ্চ শক্তির প্রয়োগ করবে। আমরা বাকিদেরও একই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই ।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় ধাপের স্থল অভিযানে নেমেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এই অভিযানের অংশ হিসেবে তারা উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণ গাজায় প্রবেশ করেছে। আর সেখানে প্রবেশ করতেই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে নেতানিয়াহু বাহিনী। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও তাদের মিত্ররা ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অত্যাধুনিক সামরিক কৌশল ও অস্ত্র ব্যবহার করছে। গত রোববার (৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিন্তক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ারের (আইএসডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোরের।
আইএসডব্লিউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার সাত দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়েছে। যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। আর হামাস ও তাদের মিত্ররাও সমরাস্ত্র উন্নত করেছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গত মাসের যুদ্ধ থেকে পাওয়া শিক্ষা থেকে নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে হামাস।
হামাসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কৌশল পরিবর্তনের একটি হলো তারা ট্যাংক-বিধ্বংসী বিস্ফোরক ইএফপির ব্যবহার বাড়িয়েছে। গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে এই অস্ত্র মাত্র দুবার ব্যবহার করলেও চলতি মাসেই পাঁচবার ব্যবহার করেছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।
গত ২ ডিসেম্বর হামাসের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, হামাস যোদ্ধারা ট্যাংকবিধ্বংসী বিস্ফোরক ছাড়াও উত্তর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে একমুখী আ্যটাক ড্রোন ব্যবহার করছে। যুদ্ধক্ষেত্রে এই ড্রোনের ব্যবহারও হামাসের জন্য কারিগরি ক্ষেত্রে বেশ বড় অগ্রগতি।
মন্তব্য করুন